জনগণকে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়রয যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, একাত্তরের চেয়ে ভয়াবহ একটা সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রিয় মাতৃভূমি। যেখানে এক অদ্ভুত নির্বাচনের আয়োজন চলছে। নিজেরাই নিজেদের বিরোধী দল। ভোটারদের কাছে আহ্বান জবরদস্তি করলেও ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। ভোট বর্জন করুন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত ক্ষণে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেও মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ঠেকানো যায়নি। বর্তমান সরকারও নিজেদের পতন ঠেকাতে পারবে না।
রিজভী বলেন, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেশটাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। অনেকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি উদ্ভট রকমের বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হচ্ছে। এভাবে টাকা নিয়ে নিচ্ছে সরকার। তবুও সরকার তার নিষ্ঠুর রাজত্ব বজায় রেখেছেন। যে কারণে দেশের মানুষ শত নিপীড়নেও রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।
বিএনপিকে বিজয় র্যালির অনুমতি দিতেও পুলিশ টালবাহানা করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, মহান বিজয় দিবসের বিজয় র্যালি করার অনুমতি দিতেও তারা টালবাহানার মাধ্যমে একাত্তরের হানাদার বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। শুধু তাই নয়, বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে বাঁধার সৃষ্টি করেছে তারা। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন বিএনপি রাজধানীতে র্যালি করতে ইতোমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছে।
তিনি বলেন, গত দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ। নয়াপল্টনে যেতে পারেন না আমাদের নেতারা। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়েও নজরদারি করছে।
সারা দেশে মামলা ও গ্রেপ্তারের বিবরণ তুলে ধরে রিজভী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট গ্রেপ্তার ১২৫ জনের অধিক নেতাকর্মী, মোট ৬টি মামলায় আসামি ৬২৫ জনের অধিক নেতাকর্মী এবং মোট আহত ৩০ জনের অধিক নেতাকর্মী।