কারাবন্দি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক গুরুতর অসুস্থ বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। আমিনুল হকের স্ত্রী বিলকিস আরা নিপা জানান, কারাগারে যাওয়ার আগে থেকেই আমিনুল হক অনেকটা অসুস্থ ছিলেন। দুই দফায় এগারো দিনের রিমান্ডে নেয়ায় সেটা আরো তীব্র হয়েছে। রিমান্ডে থাকাকালীন সময়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গত ৬ই ডিসেম্বর পুলিশ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা করে কিডনিতে পাথর ধরা পড়ে।
আমিনুল পত্নী আরো জানান, কারাগারে দেখা করার সময়ে আমিনুল হক সোজাভাবে দাড়াতে পারছিলেন না। ঠিকমতো কথাও বলতে পারছিলেন না। প্রায় সময়েই ব্যথায় কুঁকড়ে উঠছিলেন তিনি। এ অবস্থায় তাকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি দাবি জানিয়েছেন নিপা।
এদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব কারাবন্দি রফিকুল আলম মজনুও গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পিত্তথলিতে পাথর, উচ্চরক্তচাপ এবং ডায়বেটিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রিজন সেলে ভর্তি আছেন। সম্প্রতি তার পিত্তথলির অপারেশন করা হয়েছে।
তবে সেখানে ইনফেকশন হওয়ায় রোববার আবারো অপারেশন করতে হয়েছে তাকে।
রফিকুল আলম মজনুর ভাই বদরুল আলম জানান, অসুস্থ শরীর নিয়েও তার ভাইকে প্রায় প্রতিদিন আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। প্রিজন ভ্যানে আদালতে আসা-যাওয়ায় তার শরীরের অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে। এরই মধ্যে গত ৭ই ডিসেম্বর একটি মামলায় তাকে তিন বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তার ভাইকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান আলম।