বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুর কবির রিজভী বলেছেন, নিজের চামড়া বাঁচানোর জন্য এখন ‘উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপানোর ফন্দি আঁটছে সরকার। গুম-খুন, ভোট ডাকাতি, কেন্দ্রীয় ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার, চাপাবাজি ও মূল্যস্ফীতি, ধোঁকাবাজির হাত থেকে কেউ রেহায় পেতে এটা করা হচ্ছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সরকার দেশের ভয়াবহ অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্বে অসহায় হয়ে পড়েছে। নিজের অপব্যবস্থাপনা আর ব্যর্থতা ঢাকতে বিএনপি ও বিদেশিদের ওপর অগ্রিম দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই সরকার অপশাসনে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, দেশটাকে লুটেপুটে খেয়ে দুর্ভিক্ষের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
রিজভী বলেন, মানুষ তিন বেলা খাবার জোটাতে পারছে না। ক্ষুধার জ্বালায় ত্রিশ হাজার টাকায় সন্তানকে বিক্রি করেছে মা। তাই এক্ষুনি এই সর্বভূক লুটেরা খুনি দুঃশাসক দুরাচারী সরকারকে হঠাতে না পারলে দুর্ভিক্ষ-মন্বন্তরে প্রাণ হারাতে হবে বেঘোরে। পথে ঘাটে পড়ে থাকবে লাশের সারি। তাই আজ ভোটাধিকার, সরকারের গুম-খুন-অপহরণ-জুলুম-নির্যাতন, অন্যায়-অবিচার, লুটপাট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশের জনগণ রাজপথে মরণপণ লড়াই করছে। এই লড়াইয়ে আমাদের জয়লাভ করতেই হবে।
কারাগারে নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, বর্তমান আইজি প্রিজন সারা দেশে কারাগারগুলোতে বিএনপি নেতাকর্মীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বন্ধ রাখার মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন। এভাবে নির্যাতন-নিপীড়নে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিপর্যস্ত অবস্থা। আত্মীয়-স্বজনের দেখা করা, কাপড়-চোপড় দেওয়া এবং মোবাইলে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। আগে ৭ দিনে একবার দেখার সুযোগ দিলেও এখন ১৫ দিনে একবার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এভাবে কারাগারগুলো যেন হিটলারের গ্যাস চেম্বারের মতো কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প বানানো হয়েছে।