এবার ওয়াশিংটনের ফরেন প্রেস সেন্টারে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ

0
101

বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে নিয়মিতই উঠে আসে। তবে এবার ওয়াশিংটনের ফরেন প্রেস সেন্টারে বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়টি উঠে এসেছে।

গতকাল বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটনের ফরেন প্রেস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়ক জন কিরবি বলেন, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করি; তা বাস্তবায়নে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব। আমরা অন্য দেশের নির্বাচনে কোনো পক্ষ নিই না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এই নীতির কোনো পরিবর্তন হবে না। আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক প্রত্যাশা পূরণে আমরা যা করতে পারি তা মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও তার দল অব্যাহত রাখবে।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে, রাশিয়ার এমন অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে জন কিরবি বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাশিয়ানরাও জানে যে এটি মিথ্যা। এটি শুধু উচ্চমানের রুশ অপপ্রচার। তারা জানে এটা মিথ্যা। বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, আমরাও তাই চাই এবং তা হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এটাই রাষ্ট্রদূত ও তার দল করছে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত (পিটার হাস) এবং তার টিম আগে যেভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেইভাবে তারা বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, বিরোধী দল ও সরকারসহ সমাজের সব স্তরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন। বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক প্রত্যাশা পূরণ এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে যেন সম্মান করা হয় তা নিশ্চিতে তাদের কঠোর পরিশ্রম অব্যাহত থাকবে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই এবং আমাদের নীতি এটিই থাকবে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে এটিই আমাদের মূল বিষয় হিসেবে রয়েছে।’

সন্ত্রাসবাদ নিয়ে করা অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, আমরা গতকাল বা গত কয়েক দিনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। সেই প্রতিবেদনে যা আছে তা ছাড়া আমার আর কোনো মন্তব্য নেই।

তার আগে ৪ ডিসেম্বর নির্বাচন নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, আমি নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অনুমান করতে যাচ্ছি না। আমি তাই বলব, যা আগেও বেশ কয়েকবার বলেছি। আমরা বাংলাদেশি জনগণের স্বার্থে দেশের সরকার, বিরোধীদল, সুশীল সমাজ এবং সব অংশগ্রহণকারীকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাতে থাকব। যাতে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here