হেফাজতে ইসলামের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

0
100

চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিক্ষোভ সমাবেশ।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত জামিয়া হুসাইনিয়া আরজাবাদ মিলনায়তনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলদের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া।

বৈঠকে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে মাওলানা মামুনুল হকসহ অনেক আলেমকে বিনা অপরাধে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমদের ন্যূনতম সম্মান দেখানো হচ্ছে না। তারা যতটুকু আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার রাখেন সে ক্ষেত্রেও অন্যায়ভাবে বৈষম্য করা হচ্ছে। দেশের শান্তিপ্রিয় আলেম সমাজের সাংবিধানিক অধিকার ও মানবাধিকার নির্মমভাবে হরণ করা হচ্ছে। যেসব আলেম ইতিমধ্যে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন, মাসের বেশিরভাগ দিন তাদেরকে এক আদালত থেকে আরেক আদালতে হাজিরার জন্য ঘুরপাক খেতে হচ্ছে। আলেমদের সাথে হয়রানিমূলক এ সকল আচরণ দ্রুত বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়াও অনতিবিলম্বে মাওলানা মামুনুল হকসহ সকল কারাবন্দি আলেমদের নি:শর্ত মুক্তি এবং ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি হেফাজতের নামে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য বৈঠক থেকে জোর দাবি জানানো হয়েছে।

বৈঠকে আগামী শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বাদ আসর, রাজধানীতে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে মাওলানা মামুনুল হকসহ সকল কারাবন্দী আলেমের মুক্তি, হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক বিষয়াদী বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ ছাড়া সভায় বলা হয়, ধর্মীয় মতাদর্শ ও ইসলামী রীতিনীতির সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক ফ্রি মিক্সিং শিক্ষা পদ্ধতি বন্ধ করে শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। সহশিক্ষার এই ধারা পরিবর্তন করে স্বতন্ত্র ধারার প্রবর্তন করতে হবে। এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে অভিভাবককে। এ ছাড়া শিক্ষক প্রশিক্ষণের নামে যে তামাশা শুরু হয়েছে তা এখনই বন্ধ করতে হবে। একবিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার যুগে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তনকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালক বলে বিশ্বাস করা হয়। সেখানে আমাদের শিক্ষকদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ না দিয়ে যেভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস মানিকনগর, মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা লোকমান মাজহারী, মুফতী মাসউদুল করীম, মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মুফতী কিফায়েতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা জুবাইর আহমাদ, মাওলানা ফায়সাল আহমেদ, মুফতি শরিফুল্লাহ, মাওলানা আলী আকবর কাসেমী, মাওলানা রাশেদ বিন নুর, মাওলানা সানাউল্লাহ খান, মাওলানা নুর মোহাম্মদ, মাওলানা এনামুল হক মুছা, মাওলানা আমিনুল ইসলাম কসেমী, মুফতী আব্দুল মালেক প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here