ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদের দ্বন্দ্বের জেরে ইউক্রেনের জন্য অর্থ সহায়তার অনুমোদন দিতে পারছে না মার্কিন কংগ্রেস। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ সহায়তার অভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেন যদি যুদ্ধে পরাজিত হয় তাহলে এর দায়ভার যুক্তরাষ্ট্রের ঘাড়ে এসে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন। খবর রয়টার্সের।
মঙ্গলবার মেক্সিকো সিটি সফরকালে সাংবাদিকদের মার্কিন অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি মনে করি তারা এটা বুঝতে পেরেছেন যে এটি একটি গুরুতর পরিস্থিতি। আমরা যদি ইউক্রেনের জন্য এই তহবিলের ব্যবস্থা না করতে পারি তাহলে ইউক্রেনের পরাজয়ের জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী হবো।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের জন্য এই অর্থ অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সহায়তা যেন ইউক্রেনে যায় সেটি নিশ্চিতের পূর্বশর্তও এটি।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনকে ১১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। তবে গত জানুয়ারি মাসে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটদের হটিয়ে রিপাবলিকানরা প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তখন থেকে কিয়েভের জন্য আর কোনো তহবিল অনুমোদন দেয়নি কংগ্রেস।
গত অক্টোবরে কংগ্রেসের কাছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেন, ইসরায়েল ও মার্কিন সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের জন্য প্রায় ১০৬ বিলিয়ন ডলারের বরাদ্দ চায়। তবে রিপাবলিকানদের বাধায় তা কংগ্রেসে পাস হয়নি।
এর আগে গত সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এক চিঠির মাধ্যমে হোয়াইট হাউসের বাজেট পরিচালক শালান্দা ইয়াং মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ও রিপাবলিকান নেতা মাইক জনসন ও অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার মতো সময় ও অর্থ— কোনোটাই যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
শালান্দা ইয়াং বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই : কংগ্রেস কোনো পদক্ষেপ না নিলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনার এবং মার্কিন সামরিক স্টক থেকে সরঞ্জাম সরবরাহ করার মতো অর্থ শেষ হয়ে যাবে। তহবিল জোগান দেওয়ার মতো আমাদের হাতে কোনো জাদুর ছড়া নেই। আমাদের হাতে অর্থ নেই। আমাদের সময় প্রায় শেষ।