নির্বাচনের নামে পিঠা ভাগাভাগি চলছে : খেলাফত মজলিস

0
30

সরকার গায়ের জোরে একতরফা নির্বাচনের দিকে যতই এগুচ্ছে সংকট ততই ঘনীভূত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের স্বার্থে সমঝোতার পথ পরিহার করে সরকার দেশকে গভীর খাদের কিনারায় নিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে সরকারি দলের নিজেদের মধ্যে এখন পিঠা ভাগাভাগি শুরু হয়েছে, যা জাতির সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বাদ জুমা রাজধানীতে এক বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আগামী ৭ তারিখ নির্বাচনের নামে সরকার যে প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছে তা জাতির কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। অবিলম্বে ঘোষিত একতরফা তপশিল বাতিল করে দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

ঘোষিত তপশিল বাতিল করে দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি ও ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলী গণহত্যার প্রতিবাদে জাতীয় মসদিজ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইট হতে মিছিল শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল জলিল।

এছাড়াও উপস্থিতি ছিলেন, কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, কেন্দ্রীয় প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, নুরুল হক, নুর হোসেন, আবুল হোসেন, আজিজুল হক, কাজী আরিফুর রহমান প্রমুখ।

এর আগে খেলাফত মজলিসের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (৮ ডিসেম্বর) এক আলোচনা সভা ঢাকা মহানগরী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা সভায় মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আশংকার চেয়েও বেশি খারাপের দিকে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে কমতে এখন তা তিন মাসের আমদানী ব্যয় মেটানোর অবস্থায়েও নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্য আমদানীর জন্য এলসি খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। গার্মেন্টস শিল্পের উপর পশ্চিমা স্যাংশন আসলে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। রপ্তানী আয় কমে গিয়ে দেশে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয় শুরু হবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেশকে সংঘাত-সংঘর্ষ এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here