শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকার ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং তিস্তার নদীকে বাঁচাতে ভারতের সাথে সমঝোতায় ব্যর্থ হলেও ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মুখে প্রকাশ পেয়েছে প্রাপ্তির আনন্দ। জয়শঙ্কর গর্ব করেই বলেছেন, ‘ভারতীয়দেরকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ তার বন্দরগুলো (চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর) ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অর্থনীতি বদলে যাবে।’
মুম্বাইয়ে গত মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের (আইআইএম) শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশের বন্দর এবং ভূমির উপর দিয়ে ভারতীয় পণ্য একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাতায়াতের সুযোগে দেশটির অর্থনীতি পাল্টে দিলেও ওজানে পানি আটকে দিয়ে বাংলাদেশকে মরুভূমি বানাচ্ছে দেশটি। এছাড়া সীমান্তে প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যা করছে হানাদার বিএসএফ। শেখ হাসিনা শুধু দিয়েই গেলেন ভারতকে। তাদের অর্থনীতি পাল্টে দিতে উজার সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিলেন।
ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান কানেক্টিভিটির প্রশংসা করেন জয় শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি আজ বাংলাদেশে যান, তাহলে দেখবেন দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলছে… বাস চলছে…। প্রথমবারের মতো ভারতীয়দেরকে বাংলাদেশের বন্দরগুলো ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ায় এটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে (অর্থনীতিতে) বিশাল প্রভাব ফেলবে।’
এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘এটা (বাংলাদেশের অনুমতি) না হলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষকে শিলিগুড়ি দিয়ে এসে তারপর ভারতের পূর্বাঞ্চলের বন্দরগুলোতে যেতে হতো। তারা এখন চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘আগরতলা-আখাউড়া রেললাইনের ফলে বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর মধ্যে ভ্রমণের সময় ও দূরত্ব কমে যাবে। বৃহত্তর বাজারে প্রবেশাধিকার, পণ্য পরিবহন ও (দুই দেশের) মানুষে মানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।’
ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক সংযোগ এবং সাহিত্য, সংগীত ও শিল্পের প্রতি একই অনুরাগ ভারত-বাংলাদেশের অভিন্ন ঐতিহ্যকে আরও শক্তিশালী করে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় নেপাল প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারতে নেপালের বিদ্যুৎ রপ্তানি দেশটির জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ লেনদেন।’ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।