নির্বাচন কমিশনকে ‘একতরফা’ তপশিল বাতিল ও গণতন্ত্রবিরোধী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, দেশের ৯০ ভাগ মানুষকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্বাচন কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সভা-সমাবেশ না করার পক্ষে চিঠি দিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ জনগণের ভোটাধিকার ও স্বাধীন মতপ্রকাশের বিরোধিতার শামিল।
তারা আরও বলেন, ১৮ ডিসেম্বর থেকে একদফার আন্দোলন নতুন গতি পাবে। দাবি আদায়ে সব বিরোধী দল একত্রে রাজপথে নামবে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে অবরোধ সমর্থনে ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিলপরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কথা বলেন জোট নেতারা।
এর আগে মিছিলটি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে বিজয়নগর ঘুরে পুনরায় পল্টন মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া করে দিয়েছে। দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ দেশে কোনো একতরফা নির্বাচন হবে না, জনগণ এ ধরনের নির্বাচন হতে দেবে না।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান নির্বাচন কমিশন ও সরকারের উদ্দেশে বলেন, বাঘের লেজ দিয়ে কান চুলকাবার চেষ্টা করবেন না! মনে রাখবেন, এই দেশ ওলি-আউলিয়ার দেশ। যদি জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নির্বাচনের নামে তামাশা করা হয়, তাহলে জনগণ তা প্রতিরোধ করবে।
তিনি আরও বলেন, ১৮ ডিসেম্বর থেকে আন্দোলন নতুন গতি পাবে। দাবি আদায়ে সব বিরোধীদল একত্রে রাজপথে নামবে। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই সরকারের পতন ঘটবে।
বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান মো. ফারুক রহমান বলেন, এই সরকার রাজনৈতিক দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে ফের একতরফা, ডামি নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু জনগণ এ দেশে আর এ ধরনের কোনো নির্বাচন হতে দেবে না। চলমান আন্দোলনেই সরকারের পতন ঘটবে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. সেলিম মাস্টার, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. আবু হানিফ প্রমুখ।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির এম এ বাশার, মো. ফরিদ উদ্দিন, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, আসাদুর রহমান খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের আতাউর রহমান খান, এম কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির হুমায়ুন কবির, শরীফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আবু ইউসুফ সুমন, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, জোবায়ের হাসান, ইমরান হোসেন, কামরুজ্জামান রিপন, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, মিজানুর রহমান পিন্টু, ছাত্রসমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, জাগপা ছাত্রলীগের শ্যামল চন্দ্র সরকার, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।