আগামী ১৭ ডিসেম্বরের পরে সরকার হটানোর চলমান আন্দোলন আরও বড় আকারের হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে পল্টন মোড়ে এক সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শীর্ষনেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আন্দোলন হচ্ছে, আন্দোলন চলবে, আরও বড় আকারে আন্দোলন হবে। বাম-ডান যত দল আছে যুগপৎ ভিত্তিতে সবাই মাঠে নামবে এবং এবার দেখবেন আন্দোলনের জোয়ারে এই সরকার ভেসে যাবে।
বাংলাদেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক বলেন, যদি সরকার সোজা পথে না হাঁটে… আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পর থেকে রাজপথে বিরোধী দলগুলো এই নির্বাচন বন্ধ করার জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নতুনভাবে আন্দোলন গড়ে তুলব। এই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নির্বাচনের তামাশা বন্ধ করব।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা সরকার পদত্যাগের একদফা ও ‘অবৈধ’ তপশিল বাতিলের দাবিতে বেলা সাড়ে ১১টায় পল্টন মোড় থেকে দৈনিক বাংলা মোড়, ফকিরাপুল কালভার্ট রোড, বিজয়নগর সড়কে মিছিল করে পল্টন মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় শুরু হওয়া ৩৬ ঘণ্টা অবরোধ শেষ হবে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায়।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, এতদিন ইসি বলেছে যে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার, অংশ না নেওয়াও গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষ ভোট দিতে যাবে… এটা তার গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোট দিতে যাবে না এটাও গণতান্ত্রিক অধিকার। তাহলে রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার আছে যে, তারা জনগণকে ভোট না দেওয়ার কথা বলতে পারে।
সাইফুল হক বলেন, আপনাদের (ইসি) এই চিঠি সংবিধানের পরিপন্থি, গণতন্ত্রের পরিপন্থি, নাগরিকদের মুক্ত চিন্তা, মুক্ত মতের পরিপন্থি… আগামী চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আপনারা এই চিঠি প্রত্যাহার করবেন এবং এজন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।