লাতিন আমেরেকার দেশ পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফুজিমোরি কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন। ১৬ বছর কারাভোগের পর বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি মুক্তি পেয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
এর আগে প্রেরুর প্রেসিডেন্টের ক্ষমার আদেশ পুনর্বহাল করতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন ৮৫ বছর বয়সী ফুজিমোরি। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আদালত (আন্ত-আমেরিকান আদালত) ও ভুক্তভোগীদের পরিবারের সমালোচনা সত্ত্বেও গত মঙ্গলবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ক্ষমার আদেশ পুনর্বহাল রেখে রায় দেন। এরপরই তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন পেরুর রাষ্ট্রচালিত ন্যাশনাল পেনটেনশিয়ারি ইনস্টিটিউট।
এত দিন কারাভোগ করলেও দেশে অনেক সমর্থক রয়েছে ৯০-এর দশকের প্রেসিডেন্ট ফুজিমোরির। সমর্থকরা মনে করেন, ফুজিমোরি পেরুকে সন্ত্রাসবাদ ও অর্থনৈতিক পতন থেকে রক্ষা করেছেন। যদিও সমালোচকদের দাবি, শাইনিং পাথ গেরিলাদের বিরুদ্ধে সরকারের যুদ্ধের সময় তিনি গণতন্ত্রের অপব্যবহার ও নৃশংসতা চালিয়েছেন।
১৯৯১ ও ১৯৯২ সালে শাইনিং পাথ গেরিলাদের সঙ্গে যুদ্ধের সময় ২৫ জনকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ায় ২০০৯ সালে ফুজিমোরিকে দোষী সাব্যস্ত করে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে ২০১৭ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পেড্রো পাবলো কুজিনস্কির তাকে ক্ষমা করেন। যদিও আন্তঃআমেরিকান আদালত ও ভুক্তভোগীদের পরিবারের চাপের মুখে দেশটির নিম্ন আদালত এই ক্ষমার আদেশ বারবার বাতিল বা স্থগিত করে রেখেছিল। তবে এবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালত মানবিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় ক্ষমার আদেশ পুনর্বহাল রেখে রায় দিলে তিনি বুধবার মুক্তি পেয়েছেন।