হতাশ হওয়ার কিছুই নেই : মঈন খান

0
72

হতাশ হওয়ার কিছুই নেই উল্লেখ করে দলের নেতাকর্মীদের মনোবল অটুট রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

তিনি বলেন, দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতেই হবে। আওয়ামী লীগ এই গণতান্ত্রিক মানুষদের কোনো কিছুতেই কাবু করতে পারবে না।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মঈন খান।

গণফোরাম (মন্টু) ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) যৌথ উদ্যোগে ‘ডামি নির্বাচনে অবৈধ সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় করণীয়’- শীর্ষক এ আলোচনা সভা হয়।

মঈন খান বলেন, আমাদের কালো পতাকা মিছিল নিয়ে ঠাট্টা করেছে আওয়ামী লীগ। তারা বলেছে, ‘কালো পতাকা মিছিল তো শোকের’। আওয়ামী লীগ হয়তো জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। তারা এ দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এর চেয়ে আর বড় কোনো শোক নেই।

তিনি বলেন, বিএনপি আর আওয়ামী লীগ ভিন্ন চরিত্রের দল। আওয়ামী লীগ যা করে বিএনপি তা করে না। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চায় বিএনপি। লগি বৈঠা নয়, শান্তির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে বিএনপি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে বিরোধী দলের ওপর কখনো দমনপীড়ন করেনি। আওয়ামী লীগের আমলেই বিরোধিরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত। বন্দুকের নল দিয়ে গণতান্ত্রিক জনগণকে দমানো যাবে না। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তবে তা হবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে।

সভাপতির বক্তব্যে গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, দেশের এমন পরিস্থিতিতে কোথা থেকে শুরু করবো আর কোথায় শেষ করব- তাই নির্ধারণ করা মুশকিল। আমরা যেদিকে তাকাই সেদিকেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ছলনার মায়াজাল বিছিয়ে রেখেছে। তথাকথিত সরকারের অধীনে একটি ডামি নির্বাচন হয়ে গেল জনবিচ্ছিন্ন নির্বাচন। আমরা ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে সংগ্রাম করে আসছি, আমরা হতাশ নই, হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। ধাপে ধাপে মানুষের অধিকার অর্জিত হয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে আছি। এখন আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের পতন ত্বরান্বিত করতে হবে। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ভোট দিতে চায়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে এটাই আমাদের মূলমন্ত্র।

বিপিপির মহাসচিব মো. আব্দুল কাদেরের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, দলটির অপরাংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, লিবারেল ডেমোক্রেটি পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডিয়াম মেম্বার নিয়ামুল বশির, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের, বিপিপির কো-চেয়ারম্যান পারভীন নাসের খান ভাসানী, রফিকুল ইসলাম রনো প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here