সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বহিরাগত এক দম্পতিকে ডেকে এনে হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পবিত্র স্থানে এ ধরনের ঘটনায় হতবাক হন পুরো দেশবাসী।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগেও কয়েকবার নারীর প্রতি ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নের নজিরবিহীন, নিকৃষ্ট এবং ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে সারা দেশকে হতবাক করেছিল। এবারও এ ঘটনাটি ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে।
জাবির ধর্ষণকাণ্ড ইস্যুতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে অংশ নেন বিএনপির সহআন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
আলোচনার একপর্যায়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার কাছে জানতে চাওয়া হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে অধিকাংশকেই গ্রেফতার করা হয়েছে এবং শাস্তি নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। এতে কী মনে হয়— এ ধরনের ঘটনা ঠেকানো সম্ভব?
জবাবে ব্যারিস্টার রুমিন উপস্থাপককে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার কী মনে হয়? এখন যারা ছাত্রলীগ করে তারা আদর্শের জন্য করে? না। টানা ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। তারা (ছাত্রলীগ) মনে করে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত হলে অবিশ্বাস্য ক্ষমতার অধিকারী হওয়া যাবে, অবিশ্বাস্য টাকার সঙ্গে যুক্ত হওয়া যাবে, আগামীতে চাকরির একটা নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে ও চাকরি না হলেও টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজি করে নিজের একটা অবস্থান করে নেওয়া যাবে।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হলে আবরারের মতো মেধাবী শিক্ষার্থীকে টর্চার করে সোজা মেরে ফেলে দেওয়া যাবে। দিবালোকে বিশ্বজিৎকে খুন করা যাবে। ধর্ষণ করে পার পাওয়া যাবে।
এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছে বলে এই অভিযুক্তরাও বিশ্বাস করে, এ ধর্ষণের ঘটনায়ও তারা পার পেয়ে যাবে। নাটকের মতো অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিচার কতদূর এগোবে এটি নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।