সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জুলফিকার সিদ্দীককে চালতেঘাটা বাজার থেকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করে অবিলম্বে তাকে জনসম্মুখে হাজির করার জোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।
রিজভী বলেন, জুলফিকার সিদ্দীককে গতকাল (শনিবার) আনুমানিক রাত সোয়া ১০টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চালতেঘাটা বাজার থেকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা সাদা রংয়ের নোহা মাইক্রোবাসে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় মেম্বার জাফর আলীসহ বাজারের দোকানদাররা বাধা দিলে তারা বলেন আমরা ডিবির লোক। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক বর্তমান যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান ও যুবলীগ নেতা উজ্জ্বল উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, জুলফিকার সিদ্দীককে তুলে নেওয়ার ১০ মিনিট পর তার মোটরসাইকেলটি ছাত্রলীগ নেতা উজ্জ্বল নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জুলফিকার সিদ্দীকির মা শ্যামনগর থানায় গিয়ে খোঁজ করলে ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন তাকে ডিবি তুলে নিয়ে গেছে। এখনো তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আমি অবিলম্বে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জুলফিকার সিদ্দীককে জনসম্মুখে হাজির করে তার পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ৭ জানুয়ারি গণবর্জিত ডামি নির্বাচনের পর দেশ এক গভীর সংকটে পতিত হয়েছে। চিহ্নিত কতিপয় পুলিশ, আমলা, আর সরকারি দলের টাকা পাচারকারী সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজ মাফিয়া চক্র ছাড়া দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ এই সরকারের বিপক্ষে। চর দখলের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বন্দুকের নলের মুখে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে জনগণকে ক্রীতদাসে পরিণত করার চক্রান্ত চলছে। আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা ব্যতিত প্রতিটি মানুষ আজ নিরাপত্তাহীন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। মানুষের জানমাল ও জীবন—জীবিকার কোনো নিরাপত্তা নেই। নারী—শিশু নির্যাতন ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। নতজানু সরকারের কারণে দেশের স্বাধীনতা—সার্বভৌমত্ব এখন হুমকির মুখে পড়েছে। এই অবস্থায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।