সরকার পতনে আবারও রাস্তায় ‘জনতার মিছিল’ হবে: মান্না

0
50

সরকার পতনে আবারও ঢাকার রাস্তায় ‘জনতার মিছিল’ হবে  বলে মন্তব্য করেছেন মাহমুদুর রহমান মান্না। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এই সংসদ কাজ করতে পারবে না। হতাশা ওদের মধ্যে, আমাদের নয়। আমাদের মানুষ আমাদেরকে বলছে, আপনারা বলেছেন আমরা ভোট দিতে যাইনি। নিরীহ জনগণ সর্বাত্মক সমর্থক আমাদের জানিয়েছে। আমরা এখন মানুষকে বলছি, সাহস করে রাজপথে মিছিলে আসেন। একদিন দেখবেন এই ঢাকা নগর মিছিলে মিছিলে সয়লাব হয়ে যাবে। তখন আওয়ামী লীগের লোকদের খুঁজে পাবেন না। খুব বেশি দিন নাই আমরা সেই লড়াই চালাচ্ছি, আমাদের মধ্যে ওই নিয়ে (৭ জানুয়ারি) কোনো হতাশা নাই।

মান্না বলেন, ৭ জানুয়ারি তারা (আওয়ামী লীগ) কোনো ভোট করতে পারে নাই, ৭ জানুয়ারি সরকার পক্ষের কোনো অবস্থার পরিবর্তন হয়নি, বরঞ্চ অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। আমাদের অবস্থা ভালো হয়েছে কারণ আমরা জেনেছি, ৯৫ ভাগ মানুষ আমাদের পক্ষে আছে। তারা লড়াই করবে, লড়াই করছে। আগামী দিনে সেই লড়াই সংগঠিত করে আমরা সামনের দিকে যাবো। আমরা জয়যুক্ত হবো, আপনাদের সবাইকে আমাদের সাথে চাই। এই প্রত্যাশা আমাদের। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনে’র উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন হয়। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, বাইডেন সাহেব উনাকে চিঠি লিখেছেন, অত গুলগুলা ভাব হবার দরকার নাই। ও বলেছে, তোমাকে এশিয়া প্যাসিফিকের সঙ্গে যুক্ত করে আমরা সম্পর্ক রাখতে চাই। তার মানে আমার কথামতো চলতে হবে এবং আমার টাকা (যেসব প্রকল্পে বিনিয়োগ অর্থ) দিয়ে দিতে হবে। কিন্তু পিটার হাস বলছেন, ভোট কিন্তু ভালো হয় নাই। আর এই যে এতো বেশি গল্প করেন চামচামি করেন দালালি করেন ভারত-রাশিয়া-চীন আমাদের পক্ষে আছে। কি রকম পক্ষে আছে বলেন তো। ভারত আর চীনের মধ্যে প্রতিযোগিতা। তিস্তা যে কখন কাকে দিয়ে দেয় এই ভয়ে চীনের দিকে তাকিয়ে থাকে ভারত। ভারতের দিকে তাকিয়ে থাকে চীন। আর শেখ হাসিনার সরকার নিজেরাও খুব চালাক-চতুর তো দুদিকে খেলার চেষ্টা করে। আমরা বলছি, খেলতে খেলতে এই খেলা শেষ হয়ে যাবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, আজকে বাজারের যে পরিস্থিতি, মানুষ বাজারে বলে যে মনে হয় না দেশে কোন সরকার আছে। বাজারের অসৎ, মুনাফাখোর, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা আজকে কেবল জনগণকে জিম্মি করেনি। তারা সরকারি দল আওয়ামী লীগকেই খেয়ে ফেলেছে। এসব ব্যবসায়ীরা আজকে বাজারে যা খুশি তাই করে আওয়ামী লীগকে হজম করে ফেলেছে। তারা মনে করছে সরকারি দলের কিছু করার নেই তাদের বিরুদ্ধে। কারণ ৭ তারিখে যে ডামি নির্বাচন হয়েছে তাতে দুই শতাধিক ব্যবসায়ীকে এমপি ঘোষণা করা হয়েছে। আর এর প্রকৃত হিসাব হবে আড়াইশোর উপরে। এর মানে হচ্ছে এই পার্লামেন্ট পুরোপুরি একটা ব্যবসায়ী, লুটেরা, মাফিয়া, ঋণ খেলাপিদের ক্লাবে পরিণত হয়েছে। সে কারণেই আওয়ামী লীগ এখন ব্যবসায়ী লীগে পরিণত হয়েছে।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, আমাদের দেশের পরিবেশে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। অনতিবিলম্বে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার বিল পাস করুন, সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। তারা গায়ের জোরে ক্ষমতা ধরে রেখেছে, তাদের জনভিত্তি নাই। সেই নির্বাচনে (৭ জানুয়ারি) প্রমাণিত র‌্যাব-পুলিশ-সেনাবাহিনীসহ সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, টাকা পয়সার ছড়াছড়ি, ভারতের মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত, এদেশীয় ভারতীয় দালাল-এজেন্ট তাদের প্রচার-প্রচারণা সব মিলিয়ে তারা ১০% ভোটার ভোট কেন্দ্রে নিতে পারেনি। মানুষ বলে এই সরকারকে ৫% সরকার।  এই ৫% জনসমর্থন নিয়ে ৯৫% গণতন্ত্রকামী জনতার নেতৃবৃন্দকে আপনারা কারাগারে আটকিয়ে রাখতে পারবেন না।

সংগঠনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, লেবার পার্টির ফারুক রহমান, এনডিপির আবু তাহের, জাগপার রাশেদ প্রধান, বিএনপির আবদুস সালাম আজাদ, কাজী রওনুকুল ইসলাম টিপু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here