পাকিস্তানের নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পর এখনো সরকার গঠনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ফলে আসলে কে সরকার গঠন করবেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। একদিকে ইমরান খান নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন আর অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও বিজয়ের ভাষণ দিয়েছেন। অথচ ফলাফলে সরকার গঠনের মতো আসন পায়নি কোনো রাজনৈতিক দলই।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই জানিয়েছে, তারা পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনওয়ায় সরকার গঠন করবে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে দলটি কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের কথাও জানিয়েছে।
শনিবার আদিয়ালা কারাগারের বাইরে পিটিআইয়ের আইনজীবী উমায়ের খান নিয়াজি বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারসহ খাইবার পাখতুনওয়া এবং পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকার গঠন করবেন তিনি।
তিনি বলেন, নওয়াজ শরিফকে জোট সরকার গঠনের মতো সুযোগ দেওয়া হবে না। কেননা অতীতে এ ধরনের জোট তেমন কাজে দেয়নি।
এর আগে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তাত্ত্বিকভাবে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দলমত নির্বিশেষে সরকার গঠন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তারা অন্য কোনো দলে যোগদান এড়িয়ে সংসদে নিজেদের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে পারবেন। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক আসন পেলে তারা সরকার গঠন করতে পারবে। এ জন্য তাদের ২৬৬ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৩৪টি আসনে জয়লাভ করতে হবে।
তবে এই বিকল্পটা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য তেমন লাভজনক হবে না। তারা সরকার গঠন করলেও সেটা হবে খুব দুর্বল। স্বতন্ত্র নেতাদের ইচ্ছের ওপর নির্ভর করে সরকার চালাতে হবে। যে কোনো সময়ই এই ধরনের সরকারের পতন হতে পারে।
এতকিছুর পরও যদি স্বতন্ত্ররা এককভাবে সরকার গঠন করেই ফেলে তাহলেও তাদের আরেকটি বড় লোকসান হবে। তারা সংরক্ষিত আসনের কোটা অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়। পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৭ হাজারের বেশি প্রার্থী। ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৮০ লাখ। তাদের ভোটেই নির্ধারিত হচ্ছে আগামী পাঁচ বছর পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির শাসন ক্ষমতায় কারা থাকবেন।