সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ভোট বর্জন করায় দেশ পরিচালনায় বর্তমান সরকারের কোনো রাজনৈতিক ও নৈতিক বৈধতা নেই বলে দাবি করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক পর্যালোচনা সভায় এ দাবি করেন তিনি।
দুই দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির সভার প্রথম দিনে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে গিয়ে সাইফুল হক বলেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনী তামাশার মধ্য দিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেশকে ভয়ংকর বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ভোটের নিয়মতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের পথ বন্ধ করে দেশকে অনিবার্য বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃত্ববাদী শাসনকে নিরংকুশ করতে গিয়ে সরকার ও সরকারি দল সকল সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ভঙ্গুর এবং অনুগত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, নজিরবিহীনভাবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনী তামাশা প্রত্যাখ্যান ও বর্জন করে দেশের মানুষ সরকার এবং সরকারি দলের বিরুদ্ধে গণঅনাস্থা জানিয়েছে। এটা বিরোধী দলসমূহের রাজনৈতিক বিজয়।
সাইফুল হক বলেন, ৭ জানুয়ারির গণঅনাস্থার পর বাস্তবে সরকার গঠন ও দেশ পরিচালনায় সরকারি দলের আর কোনো রাজনৈতিক এবং নৈতিক বৈধতা নেই। জনম্যান্ডেটহীন এই সরকারকে প্রলম্বিত করারও কোনো অবকাশ নেই। এখন এই গণঅনাস্থাকে রাজপথে গণসংগ্রাম আকারে বিস্তার ঘটানোই বিরোধী দলসমূহের প্রধান রাজনৈতিক কর্তব্য। তিনি বিগত আন্দোলনের অভিজ্ঞতা নিয়ে দ্রুত আন্দোলন পুনর্গঠনে এগিয়ে আসতে সকল বিরোধী দল ও জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, শহীদুল আলম নান্নু, রাশিদা বেগম, এপোলো জামালী, সজীব সরকার রতন, নির্মল বড়ুয়া মিলন, মীর রেজাউল আলম, কেন্দ্রীয় সংগঠক আইয়ুব আলী, নীলুফার ইয়াসমিন, আবুল কালাম আজাদ, সাবিনা ইয়াসমিন, কবি জামাল সিকদার প্রমুখ।