জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সরকারপন্থি ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক দল এই নির্বাচন অংশ নিচ্ছে? একটাও না। হয় সরকারি দল না হয় তাদের ১৪ দলীয় জোট, না হয় মহাজোট। আর না হয় তাদের তৈরি করা কয়েকটা রাজনৈতিক দল।
রোববার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘শহীদ জিয়া, মুক্তিযুদ্ধ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, খেলা চলছে, নির্বাচনী খেলা। আমার কাছে অবাক লাগে যে, এই শীতের দিনে মিছি মিছি এসব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের গ্রামে গ্রামে পাঠানো হচ্ছে ভোটের জন্য, কি করবে তারা? আরে ভোট হবে কার কার মধ্যে। সরকারপন্থি ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক দল এই নির্বাচন অংশ নিচ্ছে? একটাও না। হয় সরকারি দল না হয় তাদের ১৪ দলীয় জোট, না হয় মহাজোট। আর না হয় তাদের তৈরি করা কয়েকটা রাজনৈতিক দল।
তিনি বলেন, এসব না করে খুবই ভালো হতো যদি চারজন প্রার্থী থাকতো, চারটা নৌকা, একটাতে সই আছে. সবই তো নৌকা। হয়ে যাবে। আসলে কারা কারা জিতবে নির্বাচনে, এটা তো সোমবার জানা যাবে, জানা যাবে কোন সিটে কে? এই মিছে মিছি এই গরীব দেশে যেখানে না খেয়ে থাকে, যেখানে কর্মহীনের সংখ্যা এতো, যেখানে ভূমিহীনের সংখ্যা এতো, যেখানে মানুষ কষ্ট করছে সেখানে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা কেনো মিছি মিছি খরচ করছেন, কেনো খরচ করছেন?
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এই যে খেলা. একজন মন্ত্রী নাকি বিএনপিকে বলেছেন, আপনারা যোগ দেন আর আমরা জেলখানা থেকে সবাইকে ছেড়ে দেই। আরে ভাই, এটা বললে হবে, বিএনপি এই খেলায় কখনো অংশ নেয় না।
তিনি আরো বলেন, আমি আগেও বলেছি, আমি এখনো বলছি আগামীদিনে আমরা একই কথা বলবো। আপোষের কোনো জায়গা নেই গণতন্ত্র ও দেশ শাসনের প্রশ্নে। জনগণ যেটা সমর্থন করবে সেটা আমরা করবো। সেই গণতন্ত্র না হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চলছে এবং চলবে ইনআশাল্লাহ।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, রুহুল আমিন গাজী, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, আবদুল হাই শিকদার, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, অধ্যাপক কামরুল আহসান, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, রফিকুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, মোসলেহ উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।