যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, শুনেছি, মার্কিন কর্মকর্তারা নাকি সরকারের সঙ্গে কথা বলছে মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়ার জন্য। এরকম শুনলে তো ভালোই লাগে। তাই আমাদের যুগপৎ আন্দোলন চলছে, চলবে। যখন সবাই মিলে রাজপথে নামবে তখন যেতে বাধ্য হবে। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র, মানবাধিকার-ভোটের অধিকার চাই’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে একথা বলেন তিনি।
মান্না বলেন, আমরা যে আন্দোলন করেছি তাতে কখনো ভাটার (সমর্থক) টান পড়েনি। বিএনপি যদি এখন একটা সমাবেশের ডাক দেয় তাহলে এখনো পল্টনের এক মাথা থেকে আরেক মাথা দেখা যাবে না। আমরা তো বলছি না আওয়ামী লীগকে সরিয়ে বিএনপিকে বসাবো। আমরা বলছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া হোক। এটা খুবই ন্যায্য একটা দাবি।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে ভোট হয়ে গেলেই শেষ।
এখন সেখানে কত শতাংশ ভোট পড়েছে, কত মানুষ ভোট দিয়েছে- সেটা তারা বলে না। তারা মঞ্চ সাজিয়েছে তাতেই শেষ। ৭ই জানুয়ারিতে কি কোনো ভোট হয়েছে? কোনো ভোটই হয়নি। সেখানে এক শতাংশ ভোট পড়েছে, নাকি শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ ভোট হয়েছে সেটা তারা দেখে না। এই নির্বাচনে এই সরকারের কোনো প্রাপ্তি নেই। তারা কেবল ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রেখেছে।
তিনি বলেন, এখানে বসে এখন বক্তৃতা করার সময় নয়। আর আপনি মানেন আর নাই বা মানেন, ৭ই জানুয়ারির পরে মানুষ একটা ধাক্কা খেয়েছেন। কারণ আমরা এমনভাবেই আচরণ ও উচ্চারণ করেছিলাম যে, এবার শেষ। মানুষও মনে করেছিলো এবার তাকে (সরকার) যেতেই হবে। কিন্তু নির্বাচনকে প্রতিহত করা কখন সম্ভব? যখন সেই সরকারের পতন চূড়ান্ত হবে। না হলে দিন যাবে দিন আসবে। সূর্য উঠবে, সূর্য ডুববে। এক সময় ৭ই জানুয়ারি আসবে। সন্ধ্যা হয়ে যাবে। সন্ধ্যায় সময় তাদের মিডিয়াগুলো একটা ফলাফল প্রকাশ করবে। কিন্তু ৭ই জানুয়ারি কোন নির্বাচন কি হয়েছিলো? ওটা কোন নির্বাচনই নয়। সবাই জানে।
তিনি আরও বলেন, এখন আমরা কি করবো? মানুষ যখন ভাবছে, এরা (সরকার) কি পাঁচ বছরই থাকবে? এই অবস্থায় আমরা যদি কর্মসূচি দেই, আমি বলবো- প্রথমত মানুষের মধ্যে, বিশেষ করে নিজের দলের মধ্যে যেনো কোন অনাস্থা তৈরি না হয়। আর আমাদের এই লড়াই জারি থাকবে। কোনভাবেই সরকারের সঙ্গে আপস নেই। কারণ এই সরকার যত ক্ষতি করেছে এবং করছে, তাদের সঙ্গে আপস করার কোন সুযোগ নাই। আর তাদের যারা মদদ দেয় দেশে কিংবা বিদেশে, তাদেরও কারো সঙ্গে বন্ধুত্বেরও কোন সুযোগ নাই।