একটা সময়ে জাতীয় দলে অপরিহার্য ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। কখনো কোচ, ম্যানেজার কিংবা টিম ডিরেক্টর হিসেবে দলের সঙ্গে থাকতেন বিসিবি’র প্রভাবশালী এই পরিচালক। সব শেষ ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ছিলেন টিম ডিরেক্টর হিসেবে। তবে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আর অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দাপটে তিনি ছিলেন অনেকটা কোণঠাসা। দলের সঙ্গে থাকলেও তার কোনো মতামতও আমলে নেয়া হতো না। তার কথার মূল্যায়ন ছিল না ওই সফরে। দুই মাস পরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। তাই প্রশ্ন আসছে আবারো কি আসন্ন বিশ্বকাপে জাতীয় দলের সঙ্গে যাচ্ছেন তিনি? এমন প্রশ্নের উত্তরে খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন তার আর জাতীয় দল নিয়ে আগ্রহ নেই। শেষ বিশ্বকাপে যেভাবে তিনি সম্মান হারিয়েছেন তাতে জাতীয় দলের আশেপাশে যেতে চান না। তিনি বলেন, ‘আমি মনে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের আর সমাধান না।
বাংলাদেশের আরও বড় সমাধান আছে। আমি আর বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোনো দায়িত্বে যেতে আগ্রহী না। গত বিশ্বকাপে আমি যা করেছি, আমি মনে করি ওটা আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সঙ্গে যায় না। হয়তো বা আমি অত বড় কোচ না, অত কিছু জানিও না ক্রিকেট নিয়ে। তারপরও আমি মনে করি আমার সম্মান আছে, গত বিশ্বকাপে আমি সেই সম্মানটা পাইনি। তাই এখন আমি আর এই কাজ করতেও চাই না।’
খালেদ মাহমুদ সুজন ক্রিকেট খান, ক্রিকেট ঘুমান। এমনটা তার নিজেরও বক্তব্য। আর জাতীয় দলের সঙ্গে তিনি কাজ করবেন না এমন সময়টা খুব কমই গেছে তার জীবনে। তাহলে তিনি এখন কি করবেন? সুজন বলেন, ‘আমি নিজের জীবন নিয়ে থাকতে চাই। আমি আবাহনী, বিপিএলে, রাজশাহীতে ক্রিকেট একাডেমিতে কাজ করি। আমি এগুলো নিয়ে খুব খুশি আছি। দেশের ক্রিকেটের কোনো উন্নতিতে যদি কাজ করতে হয় তবে অবশ্যই করবো। কিন্তু জাতীয় দলের অ্যাসাইনমেন্টগুলো হয়তো আমার জন্য না, আমি যেটা বললাম আমি হয়তো ওটা ডিজার্ভ করি না।’
পাপন ভাই আমার অধিনায়ক
পাপন ভাই আমার অধিনায়ক উনি আমাকে যখন বলে যে ফাইন লেগে ফিল্ডিং করতে আমি করবো। কিন্তু আমি মনে করি উনি আর আমাকে বলবেন না ফাইন লেগে ফিল্ডিং করতে। আমি মনে করি আমি কোনো সমাধান না এখন আর। এত বড় বড় কোচরা আসছে যারা হাইলি পেইড, তাদের মধ্যে আমার না যাওয়াটাই ভালো। আমি এখন আর ২৮-২৯ বছরের বালক না, আমার সম্মানটা এখন আমাকে রাখতে হবে। পাপন ভাইকে আগের মতোই সম্মান করি। কিন্তু আমি বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করি পাপন ভাইকে যেন উনি আমাকে আর এ বিষয়ে কোনো কাজ করতে না বলেন।
ট্যুর পার্ট হতে চাই না
অপমান কথাটা বলবো না, আমি তো ক্রিকেট পছন্দ করি। একটা জায়গায় যখন কাজ করেছি, সেই জায়গাটা যখন না পাই কাজ করতে, এতগুলো ট্যুর করার পর আমার কাজটা পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে আমাকে ওই দায়িত্বে রাখার কোনো মানে হয় না। আমি সেই কাজ করতে না পারি, তাহলে কেন করবো। আমি তো ট্যুর করতে যাই না বাংলাদেশ দলের সঙ্গে। আমি ট্যুর পার্ট হতে চাই না। আমি বিদেশ অনেক ঘুরেছি, বিদেশ ঘুরার কোনো ইচ্ছাই নাই আমার।
হাথুরু সেরা কোচ কিন্তু তা আমার কাছে মূল্য রাখে না
হাথুরুসিংহে বিশ্বের সেরা কোচ হতে পারে সেটা আমার কাছে কোনো মূল্য রাখে না। আমার বাংলাদেশে অনেক সম্মান আছে, ক্রিকেটাররা আমাকে অনেক সম্মান করে, আমি সেই সম্মানের জায়গাটা হারাতে চাই না।
জাতীয় দলের চেয়ে আবাহনী শক্তিশালী!
আমি শান্তকে হাসতে হাসতে বলছিলাম, তোর জাতীয় দল থেকে আমার আবাহনী এখন স্ট্রং। সুতরাং যারা আবাহনীর জন্য প্রতিদিন অনুশীলন করছে, পারফর্ম করছে, ইটস নট ইজি তাদের ফেলে দেয়া। লিটন দেশসেরা ব্যাটসম্যান। ওর জন্য হয়তো দরজাটা খোলা আছে। যদি দলের ওইরকম প্রয়োজন পড়ে, অবশ্যই লিটন খেলবে। সে আবাহনীর হয়ে অনেক বছর ধরে খেলছে। পারফর্ম করছে। যদিও আমরা তাকে লাস্ট দুই বছর অনেক কম পেয়েছি। খেলাতে পারিনি, খেলতে পারেনি। আমি মনে করি ওরা পেশাদার। আমি আমার বেস্ট দলটাই পিক করবো। শান্ত এসেছে। মোসাদ্দেক খুবই ভালো ছিল শেষ ৮ ম্যাচে। শান্ত এসেছে। আমার বেস্ট পসিবল দলটাই পিক করবো। দিন শেষে আমি চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।