সবচেয়ে বেদনাদায়ক এবারের ঈদ: রুহুল কবির রিজভী

0
22

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মানুষের মনে ঈদের কোন আনন্দ নেই। বিশেষ করে মধ্যম ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এবারের ঈদ সবচেয়ে নিরানন্দ ও বেদনাদায়ক। আজ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, সভা-সমাবেশ-মিছিল করার অধিকার আওয়ামী লীগ এখন এককভাবে ভোগ করছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে এরা কলুষিত করে ক্ষমতা দখলে রেখেছে। আওয়ামী সন্ত্রাস মাত্রাছাড়া হয়ে উঠেছে। জনগণের ওপর প্রভুত্বকামী জুলুমবাজ সরকার পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত দেশব্যাপী হিংসার মন্ত্রণাদাতা ও শান্তির শত্রু। এরা গণতন্ত্রের মূল নীতিকে সমাধিস্থ করে এক সর্বগ্রাসী অত্যাচারী রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটিয়েছে। কারাগারের চার দেয়ালের মধ্যে এবারও ঈদ করতে হচ্ছে বিএনপির অজস্র নেতাকর্মীকে। অবৈধ ও ডামি নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে রাজনৈতিক মামলায় বন্দি এসব নেতাকর্মী।
তিনি বলেন, আমি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আটক রাজবন্দীদের পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগেই নি:শর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

বেগম খালেদা জিয়া, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সকল বিএনপি নেতার মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি সাজা বাতিল ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

রিজভী বলেন, পবিত্র রমাজান প্রায় শেষ পর্যায়ে, আর দুই তিন দিন পর উদযাপিত হবে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। কিন্তু ডামি নির্বাচনের ‘বাকশাল টু’ সরকারের ভয়াবহ দু:শাসনে পড়ে এ পবিত্র রমজানেও নিদারুণ কষ্টে জীবন-যাপন করছে সাধারণ মানুষ। নিত্যপণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি সংকট তো আছেই। এছাড়াও অবৈধ সরকারের লুটপাটের অর্থনীতির কারণে দেশে দুর্ভিক্ষ ক্রমসম্প্রসারিত হচ্ছে। বাকস্বাধীনতা প্রয়োগের জন্য অনেক মানুষকে জুলুম ভোগ করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জবরদস্তিমূলক ক্ষমতা ধরে রেখে অবৈধ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী গত প্রায় ১৬ বছরে ক্রমবর্ধমান স্বৈরশাসনের নানামুখী ফরম্যাট পরিবর্তনের মাধ্যমে দেড় লাখের বেশি হয়রানিমূলক মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানসহ প্রায় ৫০ লাখের অধিক নেতাকর্মীকে আসামি করেছে। রাজনৈতিক আচরণের রীতি ও শালীনতাকে উপেক্ষা করে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতের মাধ্যমে সাজা দিয়েছে, এখনও তিনি মুক্ত নন। যে মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে তাতে তার বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। তাকে চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এই সরকারের আমলে বিচারের রায় ছিল ফরমায়েশি ও আক্রোশমূলক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here