আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির নেতারা বলেছেন, দেশের অর্থনীতির ভিত্তি তৈরীতে যে শ্রমিকরা রক্ত ঘাম ঝরিয়ে তিল তিল করে নিজের জীবনকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে সে সকল শ্রমজীবী মানুষদের প্রতি নির্দয় আচরণ করছে সরকার। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করে একশ্রেণীর মালিক শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। সরকারের দালালী করে তারা এমপি মন্ত্রী হতে মরিয়া।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিজয়নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্বরে সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচন বাতিলের দাবিতে রাজধানীতে ‘শ্রমিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ’ থেকে এ অভিযোগ করেন এবি পার্টির নেতারা।
তারা বলেন, শ্রমিক শোষণকারী এমপি মন্ত্রীদের দিন ফুরিয়ে আসছে এবং শোষিত বঞ্চিত শ্রমিকদের অভিশাপে সরকারের পতন হবে। এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওহাব মিনার বলেন- মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে যে শ্রমিকরা আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে গেছে আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। বর্তমান সরকার জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ন্যায্য মজুরির কথা চিন্তা না করে চোর ও টাকা পাচারকারীদের ক্ষমতায়নে কাজ করছে।
এসময় তিনি অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরী না দিলে রাস্তায় নেমে তারা নিজের অধিকার আদায় করে নিবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান, মেহেদী হাসান চৌধুরী পলাশসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।
আরও উপস্থিতি ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও বিএম নাজমুল হক, সিনিয়র সহকাররী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবি যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, শ্রমিক নেতা শাহ্ আব্দুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ জমাদ্দার রানা, শাহীনুর আক্তার শিলা ও সাবেক ছাত্রনেতা আমান উল্লাহ সরকার রাসেল প্রমুখ।