নতুন শিক্ষা কারিকুলামের বিতর্কিত অংশ বাতিল করার দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। বুধবার রাতে দলীয় কার্যালয়ে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এই দাবি জানায় দলটি।
বৈঠকে খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলামী মূল্যবোধ বিসর্জন দেয়া এবং বিজ্ঞান শিক্ষাকে সংকুচিত করা এই শিক্ষাক্রম মূল শিক্ষাকে গণশিক্ষার স্তরে নামিয়ে দিয়েছে। বিজ্ঞান ও ধর্মীয় শিক্ষাকে সংকুচিত করা হয়েছে। ট্রান্সজেন্ডারের মত সমকামিতার পশ্চিমা অপসংস্কৃতি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে স্বাভাবিক করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। কোমলমতি শিশু-কিশোরদের এমন বিষয়াদি শেখানো হচ্ছে যা এদেশের ধর্মীয় সংস্কৃতিক ও মূল্যবোধের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
তারা বলেন, পাঠ্যপুস্তকের প্রচ্ছদ থেকে ভিতরের কন্টেন্ট এমনভাবে রচিত হয়েছে যা আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার স্বকীয়তা নষ্ট করেছে। অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। সামর্থ্যবানদের অনেকে আজ ইংরেজি মাধ্যমে সন্তানদেরকে পাঠিয়ে দিচ্ছে। ডিভাইস নির্ভরতা ও পরীক্ষা না থাকাতে শিক্ষার্থীরা বাসায় পড়াশোনা করে না। মা-বাবার কথা শুনে না। আধুনিকতার নামে নৈতিকতা বিসর্জন দেয়ার এ শিক্ষাব্যবস্থার বিতর্কিত অংশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশপ্রেমিক ও সচেতন মানুষ এই বিতর্কিত শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে আজ কথা বলছে।
সম্প্রতি ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ট্রান্সজেন্ডারের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে সমালোচনা করায় গত নভেম্বরে ঢাকার ৩জন ও টাঙ্গাইলের ১জন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছিল সরকার। আমরা এসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে শিক্ষকদের চাকুরিতে পুনর্বহাল করার জন্য আমরা সরকার ও ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাই। মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানাই।
খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় বৈঠকে দলটির নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জিল্লুর রহমান, এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, আবুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।