বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৭২ থেকে ৭৫ সালে আওয়ামী সরকারের আমলে সিরাজ সিকদারসহ জাসদ ও বিরোধীদলের ২০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল, বর্তমান আওয়ামী সরকারের আমলে বিএনপির অংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ অসংখ্য মানুষকে গুম করা হয়েছে। আর্ন্তজাতিক তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার করা হবে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ফকিরাপুল এলকায় লিফলেট বিতরণ শেষে এসব কথা বলেন।
ডামি নির্বাচনে ডামি সরকারের আমলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ক্রমবর্ধমান খুন, ধর্ষণ, গ্যাস ও জ্বালানি সংকটের প্রতিবাদ এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকার, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আহবান জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ লিফলেট বিতরণ করা হয়।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা বলেছেন- ‘জিয়াউর রহমানের সময় না কি সেনাবাহিনীর অফিসারদের দমন করা হয়েছে, অনেককে ফাঁসি দেওয়া হয়েছ।’ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে তো সেখানে বিচার হবেই। জিয়াউর রহমানতো আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার করেছেন, সেনা আইনে তাদের বিচার হয়েছে। আর আপনি সামরিক কর্মকর্তাদের গায়েব করে দিয়েছেন, অদৃশ্য করে দিয়েছেন। আজকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমী কোথাও? তিনি কি গায়েব হননি? আপনার সরকারের সময় তারা গায়েব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। এর বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছে। সরকার পতনের লক্ষ্যে সবাই এখন মাঠে আছে, আন্দোলনে আছে। গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহযুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, আমিনুল ইসমলাম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, তাঁতী দলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহিদ হোসেন, যুবদলের মেহেবুব মাসুম শান্ত, বিএনপি নেতা আরিফা সুলতানা রুমা, নাদিয়া পাঠান পাপন, ছাত্রদলের ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।