সরকারের উদ্দেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, তোকে (সরকার) যেতে হবেই। তার আগে আমরা রাজপথ ছাড়ব না। কথা এটাই। আমাদের যে যাত্রা শুরু হয়েছে, এই যাত্রা থামবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সরকারকে গদি থেকে নামাতে না পারব। তাদের যেতে হবেই।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুক্রবার দুপুরে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে ‘সংসদের কফিনে পেরেক, আন্দোলন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে’ এক অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক এম জাঙ্গাহীর আলমের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ৭ তারিখের আগে থেকে এবং ৭ তারিখের পরে থেকে আমরা লড়াইয়ের রাস্তায় আছি। রাস্তা ছেড়ে যাব না। ৩০ তারিখে বিএনপি মিছিল বের করবে। ওরা (সরকার) মিছিল করতে দেবে না। আর আওয়ামী লীগের দিন বড় খুব খারাপ। আরও খারাপ আসবে। অপেক্ষা করেন। খুব বেশি দিন লাগবে না। এরমধ্যে বিরোধী দল আবার মিছিল শুরু করেছে। কর্মসূচি দিচ্ছে। পুলিশের ভয় যদি পাই তাহলে এখানে আসছি কেন?
অর্থনৈতিক সঙ্কটের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন বলে আমরা ৫ বছর থাকব। ওরা নিজেরাই বুঝতে পারছে না যে, কয়দিন থাকবে। কারণ তিন মাসেরর মধ্যে পেঁয়াজ এবং চাল কেনার টাকা যদি না থাকে, গরিব মানুষের এবং চাকরিজীবীদের বেতন দেওয়ার টাকা যদি না থাকে তাহলে এই সরকার চলবে কেমনে?
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, জিনিসপত্রের সব কিছুর দাম বাড়ছে। যাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেই ভদ্রলোক একবাবে নতুন। উনি এসে বললেন, সিন্ডিকেটরা সবকিছুর দাম বাড়ায়। এক সপ্তাহের মধ্যে সব সিন্ডিকেট বন্ধ করে দেব। উনার শপথ নেওয়ার পর তিন সপ্তাহ পার হচ্ছে। সিন্ডিকেট বন্ধ করতে পেয়েছেন? সিন্ডিকেট ভেঙেছে? জিনিসপত্রের দাম কমেছে? পারেন নাই!
সংসদের কফিনে পেরেক মেরে দিয়েছেন শেখ হাসিনা এমন মন্তব্য করে মান্না বলেন, সংসদে থাকবে সরকারি দল এবং বিরোধী দল। কিন্তু এখানে বিরোধী দল নাই। বিরোধী দলের নেতা একজনকে বানিয়েছে। এই সংসদের কফিনে পেরেক মেরে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। জনগণের গণতান্ত্রিক সব কিছু নস্যাৎ করে দিয়েছেন।