বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান অভিযোগ করে বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে রাজনীতিকে নির্বাসন দেয়া হয়েছে। এখন চলছে শুধু ক্ষমতা, টাকা এবং অর্থের রাজনীতি। বিগত ১৫ বছর ধরে সরকার বারবার বিরোধীদলকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। জঙ্গি সংগঠন বলছে। তাদের এ কথা এবার কোন কাজে দিবে না। এটা মনে রাখবেন। সর্বশেষ গত দুই মাস আগে একই কার্য সম্পাদন করতে চেষ্টা করেছে।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পেশাজীবীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, ১/১১ নিয়ে অনেক কিছু বলার আছে, আজকের আলোচনা কিন্তু এটা সম্পর্কহীন নয়। আজ আমরা কোন সাম্রাজ্যে বসবাস করছি! স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য ছিল গণতন্ত্র আর তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের দারিদ্র্য মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। ৯ মাসে যুদ্ধ করেছিলাম আমরা সাম্যের আশায়। আমরা যে মূল্যের জন্য স্বাধীনতা করেছিলাম ৫২ বছর আগে, তবে আজ কেন বলতে হয়, আমাদের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নাই।
কেউ যদি মুক্তির কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এজন্যই কি আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম?
তিনি বলেন, আজকের এই আন্দোলন কিন্তু বিএনপি বনাম আওয়ামী লীগ নয়। আজকের আন্দোলন নিরস্ত্র জনগণ বনাম রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগতকারী দল। গত ২৮শে অক্টোবরে ঘটনা বিশ্ব কিভাবে দেখেছে, সেটা দেখতে হবে। তারা কি বলছে। তারা বলছে ২৮শে অক্টোবর সরকার ক্র্যাকডাউন করেছে বিরোধীদলের ওপর। আর ৭ই জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিশ্ব বলছে, এটা সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি।
ড. মঈন বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক নাম পরিবর্তন করতে পারলেও নিজেদের নাম পরিবর্তন করতে পারেনি। তাদের আওয়ামী লীগ শব্দটি উর্দু। আওয়ামী মুখে যা বলে তা করে না। যা বলে না তাই করে। মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও বাকশাল কায়েম করছে। তারাই আবার গণতন্ত্রের প্রবক্তা দাবি করে।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি এখন ক্ষমতার উৎস, আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় আছে, ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। আরও ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারে। কারণ আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে বাংলাদেশটা তাদের পারিবারিক জমিদারি। তারা বলে আজীবন ক্ষমতায় থাকবে। আমরা নির্বাচন ঠেকাতে পারিনি। এটা সত্য। তবে এ দেশের ১৮ কোটি জনগণ ও ১২ কোটি ভোটারের মন ঠিকই জয় করতে পেরেছি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিনের সভাপতিত্বে সভায় গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।