রাজধানীজুড়ে ১২১ সাংগঠনিক থানায় জামায়াতের লিফলেট বিতরণ

0
93

কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির আলোকে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের গণআন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘প্রহসনের’ নির্বাচন বর্জন ও ভোট দান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে রাজধানীর ১২১ সাংগঠনিক থানায় একযোগে লিফলেট বিতরণ করেছে জামায়াতে ইসলামী।

শুক্রবার সকালে মহানগর দক্ষিণের পল্টন, মতিঝিল, খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী, ওয়ারী, বংশাল, লালবাগ, চকবাজার, শাহবাগ, সবুজবাগ, রমনা, ধানমন্ডি, কোতোয়ালি, মুগদা, নিউমার্কেট, কলাবাগান, হাজারীবাগ, কদমতলী, শ্যামপুর, সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া, ডেমরা, শাহজাহানপুরসহ রাজধানীর ৬৮ সাংগঠনিক থানায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।

একই সময়ে মহানগর উত্তরের মিরপুর, কাওরানবাজার, ভাষাটেক, রামপুরা, বাড্ডা, কাফরুল, গুলশান, মোহাম্মদপুর, বনানী, হাতিরঝিল, তেজগাঁও, শিল্পাঞ্চল, শেরেবাংলা নগর, রূপনগর, দক্ষিণখান, উত্তরখানসহ সাংগঠনিক ৫৩ থানায় লিফলেট বিতরণ করেন দলটির নেতাকর্মীরা।

পল্টনের শান্তিনগর বাজারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন বলেন, বর্তমান ক্ষমতালোভী আওয়ামী সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো করে দেশে আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আওয়ামী সরকারের আজ্ঞাবহ এই নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফশিল দেশপ্রেমিক জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের জনগণ ও বিরোধী সব রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনকে বর্জন করেছে। এই অবৈধ সরকার ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচনি খেলা ও প্রহসনের নাটক তৈরি করেছে, সচেতন নাগরিক হিসেবে সেই নির্বাচন বর্জন ও ভোট দান থেকে বিরত থেকে সরকারের ভোটাধিকার হরণের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করার জন্য আমরা ঢাকাবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি। এই পাতানো নির্বাচনকে জনগণ প্রতিহত করবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য শাহীন আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট মারুফুল ইসলাম, সুলতান উদ্দীন, আফম ইউসুফ, মোস্তাফিজ শাহীন ছাত্রনেতা তানভীরসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

উত্তরার আজমপুরে লিফলেট বিতরণকালে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতেই দেশে একটি সুবিধাভোগী শ্রেণি তৈরি করেছে। তারা দেশের জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগসহ সকল জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করে ফেলেছে।

এমনকি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনকে দাসপ্রবণ ও আত্মসম্মানহীন লোকদের নিয়োগ দিয়ে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা নির্বাচনকে প্রতিপক্ষহীন ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা রাখার জন্যই কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি উপেক্ষা করে নির্বাচনের নামে কানামাছি খেলা শুরু করেছে।

আর এ জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে নাম-পরিচয়হীন রাজনৈতিক এতিম ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গহীন নির্বাচনি ভিক্ষুকদের। তাই সচেতন জনতা মাফিয়াতন্ত্রীদের পাতানো খেলায় কোনোভাবেই পা দেবে না এবং সরকারের পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেবে না।

তিনি নির্বাচনের নামে চরদখলের মহড়া ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিশে শুরা সদস্য মাহবুবুল আলম, মাজহারুল ইসলাম, গাজী মনিরুল ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি সালাহউদ্দীন প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here