রাখাইনে সামরিক জান্তার সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটি মরাউক ইউ শহর নিজেদের দখলে নেয়ার দাবি করেছে বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মি। তাদের দাবি, সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে রাখাইনে যুদ্ধ অব্যাহত আছে। কিন্তু বুধ ও বৃহস্পতিবার এই যুদ্ধে তারা জান্তাবাহিনীর তিনটি নৌ ‘ল্যান্ডিং ক্রাফট’ ডুবিয়ে দিয়েছে। গত মাসে তারা রাখাইনের বিভিন্ন নদীতে অন্য কমপক্ষে সাতটি নৌ যান ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বৃহস্পতিবার মরাউক ইউ’তে পুলিশ ব্যাটালিয়ন ৩১ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে আরাকান আর্মি। এর অর্থ হলো ওই শহরটি এখন আরাকান আর্মির পুরো নিয়ন্ত্রণে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য ইরাবতী।
রাখাইনের মিডিয়া রিপোর্ট করেছে যে, মিনবাইয়া এবং কাইউকতোয়া শহর আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এসব রিপোর্ট নিরপেক্ষ সূত্র থেকে যাচাই করতে পারেনি ইরাবতী। এই যুদ্ধ মনিটরিং করছেন এমন একজন রাখাইন অধিকারকর্মী বলেছেন, ওই তিনটি শহর থেকে সামরিক জান্তার সেনাদের একেবারে তাড়িয়ে দেয়া গেছে, এমনটা এত তাড়াতাড়িই বলা যাবে না। শুক্রবারও রামরি শহর এবং এর আশপাশের গ্রামে সেনাবাহিনী কমপক্ষে ২৫টি গোলা নিক্ষেপ করেছে একটি নৌযান থেকে।
একই দিনে ওই শহরে অবস্থিত থেইন টাউং কোনে প্যাগোডায় জান্তার একটি আউটপোস্টেও গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাথেডাং শহরে কোয়ে টান কাউক সীমান্ত আউটপোস্টে হামলা করেছে আরাকান আর্মি। একই এলাকায় সামরিক জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধেও হামলা হয়েছে। শুক্রবার রামরি এবং রাথেডাংয়ের অধিবাসীরা বলেছেন, যুদ্ধ অব্যাহত আছে। জান্তাবাহিনী আকাশপথে অব্যাহত হামলা চালাচ্ছে। এর জবাবে আরাকান আর্মি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক লোকজনকে হত্যা ও তাদের ওপর হামলা করছে সামরিক জান্তা। এটা জেনেভা কনভেনশনের সরাসরি লঙ্ঘন। এর মধ্য দিয়ে তারা যুদ্ধাপরাধ করছে।
বৃহস্পতিবার কাউকফিউ শহরে গোন চুন গ্রাম ঘেরাও দেয় সেনাবাহিনী। কোনো কারণ না দেখিয়ে চারজন পুরুষকে সেখান থেকে আটক করা হয়েছে। কোনো রকম সংঘর্ষ ছাড়াই পোনআনগাইউন শহরে কুন তাউং গ্রামে হামলা করে লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন ৩৪৪। এতে একজন গ্রামবাসীর চোখে ক্ষত হয়েছে।