রাজধানীর পৃথক দুই থানার মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ ২১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এ রায় দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আনোয়ার এ তথ্য জানিয়েছেন।
১০ বছর আগে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় করা নাশকতা ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলায় পৃথক দুই ধারায় তিন বছরের সাজা সাজা দেন। এ মামলার সাজা প্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ারুজ্জামান, লুৎফর রহমান, শাহীন ওরফে গান্ডু শাহীন, তরিকুল ইসলাম ওরফে ঝন্টু, আমিনুল ইসলাম জাকির, গোলাম কিবরিয়া শিমুল, বিল্লাল হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও জাকির হোসেন। আসামিদের মধ্যে সাইফুল আলম নীরব ও আনোয়ার রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া পলাতক ৮ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
২০১৩ সালের ২৬ মার্চ কাওরানবাজারের ওয়াসা ভবন এলাকায় ট্যাক্সিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গাড়িচালক বাবুল তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
গুলশান থানার আরেক মামলায় বিএনপির আরো ১১ নেতাকর্মীর পৃথক তিন ধারায় সাড়ে চার বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। রায়ে দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় ৬ মাস, ১৪৭ ও ৪২৭ ধারায় দুই বছর করে চার বছরের সাজা দেন। আসামিদের মামুন ও ওয়াসিম কারাগারে আটক রয়েছে। তবে অপর ৯ আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
হরতাল অবরোধের সমর্থনে বিএনপির নেতাকর্মীরা গুলশান এলাকায় বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হন। তারা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি লক্ষ্য ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ।