তুরস্কের ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে খুন হওয়া সাংবাদিক জামাল খাশোগির স্ত্রী আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন। জামাল খাশোগি ২০১৮ সালে হত্যার শিকার হন। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে সৌদি আরবের হাত রয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, জামাল খাশোগির স্ত্রী হানান ইলাতর তার নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছেন ২০২০ সালের আগস্টে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আমেরিকার কাছে আবেদন করেছিলেন। তার নথিপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আশ্রয় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
হানান ইলাতর বলেন, ‘তারা জামালের জীবন কেড়ে নিয়েছে এবং আমার জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা জিতেছি।’
প্রায় তিন বছর আগে আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন হানান ইলাতর। আবেদনের সময় তিনি লিখেছেন, জন্মস্থান মিশর কিংবা ২৫ বছর ধরে বসবাস করে আসা আরব আমিরাতে ফিরে গেলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে।
এমিরেটসে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে চাকরি করতেন ইলাতর। তিনি সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে গত তিন বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডে বসবাস করছেন। তার আইনজীবী র্যান্ডা ফাহমি বলেন, ২০২১ সাল থেকে তিনি অবশ্য সেখানে কাজের অনুমতি পেয়েছেন।
রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইলাতর। তিনি বলেন, সব প্রক্রিয়া শেষ করতে দীর্ঘ সময় লাগলেও আমি আমেরিকার প্রতি কৃতজ্ঞ। কারণ আমি আতঙ্কিত জীবন থেকে রেহাই পেয়েছি।
প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে কলামিস্ট হিসেবে কাজ করতেন জামাল খাশোগি। তাকে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হয়। মার্কিন গোয়েন্দাদের অভিযোগ, সৌদি গেয়েন্দারাই তার লাশ গুম করেছে। এমনি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেরই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলেও অভিযোগ মার্কিন গোয়েন্দাদের।
তবে সৌদি যুবরাজ অবশ্য শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন…