পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মতো সিলেটের উইকেট কমন পড়েনি নিউজিল্যান্ডের। বাংলাদেশে বেশির ভাগ টেস্ট খেলা হয়েছে স্লো ও টার্নিং উইকেটে। সে অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজ খেলতে আসে কিউইরা।
কিন্তু সিলেটে স্পোর্টিং উইকেট তৈরি করে, শুরুতেই তাদের ভড়কে দেয় টাইগাররা। আর এত সহজ হয় কিউই বধের গল্প। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট হবে মিরপুরে। তাই সবার নজর এবার মিরপুরের উইকেটের দিকে।
টেস্টের জন্য বাংলাদেশেও যে ভালো উইকেট হতে পারে এই ধারণা ছিলই না এশিয়ার বাইরের দলগুলো। উইকেট কমন না পড়ায় কিউইদের খেলতে হয়েছে স্পোর্টিং উইকেটে। সফরকারীরা ধোঁকা খেলেও ধোঁকা দেয়নি ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। কারণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টেস্ট ম্যাচের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয় স্পোর্টিং উইকেট।
এদিক থেকে বিসিবিকে সফল বলা যায়। শুরু টেস্ট নয়, নিউজিল্যান্ডের হৃদয়ও জিতেছে তারা। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেও ভালো উইকেটে টেস্ট খেলার ইচ্ছা কিউইদের। এর পেছনের কারিগর এক অস্ট্রেলিয়ান। আইসিসি ক্রিকেট একাডেমিতে দীর্ঘ কাজের অভিজ্ঞতা থেকে এই উইকেট বানান টনি হামিংস।
বিসিবির চাকরির যোগ দেওয়ার পর এটিই ছিল ছিল তার প্রথম আন্তর্জাতিক অ্যাসাইনমেন্ট। এতে বেশ ভালোভাবেই উতরে গেছেন তিনি। অবশ্য এ পিচ কিউরেটর কৃতিত্ব দেন মাঠকর্মীদের। তার ভাষ্যে এটি প্রতি ২৯ রানে ১ উইকেটের পিচ।
সদ্য শেষ হওয়া সিলেট টেস্টের উইকেট চিন্তার খোরাক দিয়েছে দেশের ক্রিকেট প্রশাসনকে। ঘরের মাঠে ভালো উইকেটে খেলেও যে বিদেশি দলগুলোর বিপক্ষে জেতা যায়, তার প্রমাণ পাওয়া গেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসর জয় দিয়ে শুরু করায় সিরিজ নিজেদের করে নিতে চায় বাংলাদেশ। এই লক্ষ্য অর্জনে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে স্লো ও লো উইকেট বানাতে পারে। যদিও দেশের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সিলেটের চেয়েও মিরপুরে ব্যাটিংবান্ধব উইকেট বানালে ভালো হবে।
সবকিছু নির্ভর করছে হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চাওয়ার ওপর। লঙ্কান এই কোচ ভবিষ্যৎ না বর্তমান নিয়ে ভাবছেন, সেটা এখন দেখার বিষয়। কারণ বিশ্বকাপে চরম ভরাডুবির তার নিজের পায়ের নিচের মাটি নরম করে দিয়েছে।
এখন এই মাটি শক্ত করতে তার নগদ সাফল্যের প্রয়োজন। আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে ঢাকা পড়বে অনেক কিছু। আর তা করতে মিরপুরে স্লো ও লো উইকেট বানানোর নির্দেশ দিতে পারেন টাইগারদের প্রধান কোচ, অনেক ধারণা অনেক ক্রিকেট বোদ্ধার।