বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোন মামলা রাজনৈতিক নয় -প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, দন্ডবিধি (পেনাল কোড) বা অন্য কোন স্পেশাল আইনে বা বাংলাদেশের সংবিধানের কোথাও ‘রাজনৈতিক মামলা’ করার কোন বিধান নেই। রাজনীতি কোন অপরাধ নয় – এইজন্য রাজনীতিবিদদের নামে রাজনৈতিক মামলা দায়েরের বিধান সরকারের বা রাষ্ট্রের কোন আইনে নেই। সরকারের সর্বোচ্চ পদ থেকে এই ধরনের ভিত্তিহীন বক্তব্য গ্রহণীয় নয়। রাজনৈতিক মামলা নামে অতীতেও কোন মামলা ছিল না বর্তমানেও নেই এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না। রাজনীতিবিদদের কণ্ঠস্বর জনগণের কণ্ঠস্বর হিসেবেই উদ্ভাসিত হওয়া উচিত- শাসকের কণ্ঠস্বর হিসেবে নয়।
তিনি বলেন, সরকার প্রধানের এই বক্তব্যে ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্রের লড়াইয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে নতুন করে
মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বা মামলার বেড়াজালে আবদ্ধ করার মাধ্যমে তাদের দুর্দশাকে চিরস্থায়ী করার অভিপ্রায় প্রকাশ পেয়েছে। বিরোধী মত ও পথকে স্তব্ধ করার জন্য লক্ষ লক্ষ মিথ্যা মামলাকেই অন্যতম রাজনৈতিক হাতিয়ার করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আইনের অপপ্রয়োগে রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব নস্যাৎ হবার ঝুঁকিতে পড়ে এবং পরিশেষে রাষ্ট্র ধ্বংস হয়।
তিনি বলেন, অতীতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী সুনির্দিষ্ট মামলার সম্মুখীন হয়ে কারাগারে ছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে সে সব মামলা থেকে তাঁকে খালাস দেয়া হয়েছে। অতীতকে মনে রাখাই রাজনীতিবিদদের ঐশ্বর্য।
এই সরকার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বিরোধী দলের নামে যে অগণিত মিথ্যা মামলা দিয়েছে তা প্রজাতন্ত্রের সবাই অবগত। বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ফৌজদারী মামলার আসামি করে পুলিশ নিজেই বাদী এবং সাক্ষী হয়ে দণ্ড প্রদানের যে প্রক্রিয়া চালু করেছে তা নজিরবিহীন,বেআইনি এবং সভ্যতা বিরোধী।
ক্ষমতার পালাবদলে ভবিষ্যতে যেন প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা, গ্রেপ্তার, কারাগারে প্রেরণ এবং মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করা না হয়, সকল নাগরিকের জন্য সাম্য, আইনের সমতা এবং মানবিক মর্যাদা সুরক্ষার ভিত্তিতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হয় সেটাই হবে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত রাষ্ট্রের প্রতি সকলের কর্তব্য।