ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) নেটজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন খবরে ভীষণ ক্ষুব্ধ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এই ব্যাটালিয়ানকে অভিজাত হিসেবে অভিহিত করে আইডিএফ। কিন্তু বাইডেন প্রশাসন এই ইউনিটকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও মন্ত্রীরা। তারা কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন উদ্যোগের কাছে মাথা নত না করতে। বিশ্বের প্রায় সব মিডিয়ায় এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। শনিবার রাতে একটি বিবৃতি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, ‘আইডিএফের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া উচিত নয়।
আমাদের সেনারা সন্ত্রাসী দানবের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আইডিএফের একটি ইউনিটের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উদ্ভট ও নিম্ন মানের নৈতিকতা। আমাদের নেতৃত্বে ইসরাইল সরকার এসব উদ্যোগের বিরুদ্ধে সব রকম ব্যবস্থা নেবে’।
একইভাবে ক্ষেপেছেন ইসরাইলের উগ্রপন্থি মন্ত্রী ইতামার বেন গাভির এবং বেজালেল স্মোট্রিচ। তারাও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এ উদ্যোগের কড়া সমালোচনা জানিয়েছেন। বেন গাভির বলেছেন, আমাদের সেনাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলো একটি রেড লাইন। তিনি মার্কিন সরকারের এ উদ্যোগকে চরম গুরুতর বলে অভিহিত করেন। বেন গাভির বলেন, নেটজাহ ইয়েহুদার সব সদস্যকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। মন্ত্রী বেন গাভিরকে দেখা হয় ইসরাইল সরকারের একজন বাজপাখি হিসেবে। তিনি ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন- তারা যেন মার্কিন এই অবস্থানের কাছে নতি স্বীকার না করেন। ওদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে একটি বিবৃতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ। তিনিও আইডিএফের ওই ইউনিটের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কড়া নিন্দা জানিয়েছেন। এক্সে লিখেছেন, ইসরাইল যখন একটি লড়াইয়ের মধ্যে আছে তখন আইডিএফের ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি এক পাগলামি। এর মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসরাইলকে রাজি করাতে জোর প্রয়োগের একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে।