৭ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টায় সংবাদ সম্মেলনে ভোটের শতাংশ নিয়ে জানতে চাইলে সিইসি প্রথমে বলেন, ‘অ্যাজ ইট ইজ আমরা যেটা পেয়েছি ২৮% শতাংশের মতো’। এসময় সিইসি’র পাশে থাকা নির্বাচন কমিশন সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা সিইসিকে ৪০% শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান। তখন সিইসি বলেন, ‘৪০ শতাংশ, আচ্ছা আচ্ছা। ৪০ শতাংশ তাও কিন্তু সেই ড্যাশবোর্ডে হান্ড্রেট পারসেন্ট আসেনি। তবে আরও হয়তো বাড়তে পারে। আবার নাও পারে’। যদি যুক্তির খাতিরে ধরে নেওয়া যায় ৪০% ভোট পড়েছে তথ্যটি সঠিক, তার মানে ম্যাজরিটি ভোটার ভোট বর্জন করেছে।
বিকাল ৩টার ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, ‘২৭% শতাংশ ভোট পড়েছে’। অর্থাৎ শেষ এক ঘন্টায় ভোট পড়েছে ১৩ শতাংশ। প্রশ্ন হলো, ৭ ঘণ্টায় ২৭% আর এক ঘণ্টায় ১৩% ভোট কি বিশ্বাসযোগ্য!! একজন কমিশনার ভোটের আগেই বললেন, ‘ভোট পড়বে ৫১%’। তিনি যেন যাদু জানেন। আসলে মানুষকে এতো বোকা ভাবা ঠিক নয়।
এদিকে সারাদিন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য অনুসারে, অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রই ছিল ফাকা। ভোটার নয়, ভোটকেন্দ্রে বরং কুকুর ঘুমাতে দেখা যায়। ভোটের হার গড়ে আনুমানিক ৫%-৭% এর বেশি হয়নি। প্রকৃত সত্য হল, সরকার, নির্বাচন কমিশন ও সরকারী দলের ক্যাডার বাহিনী যতই চেষ্টা করুন গণতন্ত্র প্রিয় মানুষ বিএনপি’সহ আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকে সাড়া দিয়ে এই একতরফা ডামি ও প্রহসনের নির্বাচনী নাটক বর্জন করেছে। এইজন্য জনগণ অবশ্যই অভিনন্দন পেতে পারেন।