বরগুনার আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ‘ভোট দেওয়ার শর্তে পবিত্র কোরআন ছুঁয়ে কসম করে টাকা নিতে হবে’ এমন একটি ফোনকল রেকর্ড সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার ছবিযুক্ত ৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড ভাইরাল হয়। মুহূর্তেই ভাইরাল ওই কল রেকর্ডটি জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে সব শ্রেণিপেশার মানুষের মাঝে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
শাহজাহান মাস্টার নামের এক ব্যক্তি এক ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কোরআন ছুঁয়ে টাকা নিতে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন বলে কালবেলা প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন স্থানীয় ভোটাররা। স্থানীয়রা জানান, শাহজাহান মাস্টার আমতলীর খুড়িয়ার খেয়াঘাট এলাকার আফতের মৃধার ছেলে। তিনি ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার একনিষ্ঠ সমর্থক।
৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ভাইরাল ওই কল রেকর্ডের কথোপকথনে শোনা যায়, শাহজাহান মাস্টার মোবাইল ফোনে এক ভোটারকে ভোট দেওয়ার শর্তে কোরআন ছুঁয়ে কসম করে টাকা নেওয়ার কথা বলা হয়। এতে ওই ভোটার ও তার স্ত্রী কোরআন ছুঁয়ে টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং কর্মী তালিকা থেকে তাদের নামও কেটে দিতে বলেন। তবে অটোরিকশা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নয়ন মৃধার পক্ষেও টাকা বিতরণের কথা তাদের বলতে শোনা যায়।
ভাইরাল কল রেকর্ডের বিষয়ে শাহজাহান মাস্টারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে তিনি মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রাখেন।
ভাইরাল হওয়া কলরেকর্ডের বিষয়ে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার এক সমর্থক ফোনটি রিসিভ করেন।
আটোরিকশা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নয়ন মৃধা কিছুদিন আগের করা একটি হত্যার অভিযোগের মামলায় জেলহাজতে থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বরগুনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল হাই আল হাদী বলেন, বিষয়টি এখন পর্যন্ত আমার নজরে আসেনি। এর আগেও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। দুজনকে জেল দেওয়া হয়েছে। ওখানে (আমতলী সদর ইউনিয়ন) উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক শৃঙ্খলার দায়িত্বে আছেন।