আর্মিতে মার্কম্যান শুটার নামের একটি বাহিনী থাকে যাদের কাজ হল প্র্যাকটিসের মাধ্যমে নিখুঁত টার্গেট শুটিংয়ে দক্ষতা অর্জন করা। ভারত বর্তমানে বাংলাদেশের মাটিকে প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড এবং বাংলাদেশের মানুষকে পপ-আপ টার্গেট বানিয়ে মার্কম্যান শুটার তৈরির কাজটা চালিয়ে নিচ্ছে। সব রকম আর্মসের টার্গেট হয়েছে বাংলাদেশ বর্ডারের কাছে বসবাসকারী ক্ষেতের চাষী, মাঠের রাখাল, অথবা পথে চলাচলকারী নিরীহ মানুষজন। এক দুইজন নয়, প্রতিবছর শতশত নিরীহ বাংলাদেশী ভারতীয় টার্গেট শুটিং এর হয়ে মারা যাচ্ছে।
এ বছর ভারত তার প্রজাতন্ত্র দিবস উদ্বোধন করেছে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড বাহিনী (বি জি বি) একজন সৈন্যকে টার্গেট প্র্যাকটিসে হত্যার মাধ্যমে। নিহত বিজিবি সিপাহী রইশুদ্দীনের পরিবারের কান্নার রোল থামতে না থামতেই ২৮ শে জানুয়ারি লালমনিরহাটের যুবক রবিউল ইসলাম কে ভারতীয় বাহিনী একই ভাবে গুলি করে হত্যা করে। এতিম বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে কোন কৈফিয়ত চাওয়া দূরে থাক, বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী “এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা” বলে তাচ্ছিল্য করে উড়িয়ে দিয়েছেন। এমনকি বাংলাদেশের কোন সংবাদ মাধ্যমেও এই সীমান্ত হত্যা তেমন কোন গুরুত্ব পায়নি ।এটা কোন দেশ? কোন সরকার?
বাংলাদেশ বর্তমানে যে ভারতের টার্গেট প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড একথা এখন ভারতের কোলে বসা বর্তমান পুতুল সরকার আওয়ামীলীগ, ও তাদের আমলা কামলা, ফয়লা এবং ভারতজীবী কিছু দলদাস ছাড়া ১৬ কোটি বাংলাদেশী মানুষের কাছে দিবালোকের মত স্পষ্ট। ভারত যে ভয় দেখিয়ে চাপে রাখার জন্য বাংলাদেশকে চাঁদমারি নিশানায় রেখেছে সেটা তাদের প্রতিদিনের আচরণে প্রকাশ পাচ্ছে। তারপরও ট্রান্সজেন্ডারমার্কা অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকার শতমুখে প্রচার করছে, ভারত তাদের বন্ধু রাষ্ট্র, ভারতের সঙ্গে তাদের স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক, ভারতের সাথে তাদের নাড়ীর টান, ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমরা কি জাতি হিসাবে অত আহাম্মক যে ভুলে যাব-
ভারত চিরকালই চরম হিন্দুত্ববাদী রেসিস্ট একটি দেশ। তারউপর গোঁড়া হিন্দুত্ববাদীরা এবং তাদের রাজনৈতিকদল, বর্তমানে যারা ভারতের ক্ষমতায় আসীন, এবং যাদের নীতিমালার উপর ভিত্তি করে ভারতের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, তারা সকলেই চরমভাবে মুসলমান বিদ্বেষী। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (আর এস এস), হিন্দু মহাসভা, হিন্দু সেনা, শিব সেনা, অখিল ভারতীয় রাম রাজ্য পরিষদ, অখণ্ড হিন্দুস্থান মোর্চা, ভারত ধর্ম সেনা, ডাঃ শ্যামাপ্রসাদের দল, জন জাগরণ মঞ্চ সহ আরও প্রায় সাত-আট টি হিন্দুত্ববাদী দল যারা এখন ভারতের ক্ষমতার আসনে তাদের দারা গোটা ভারতে মুসলিম নিধন অব্যাহত রয়েছে।
এইসব সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদের শাখা প্রশাখা, যারা বাংলাদেশকে আত্মীকরণের কাজে দীর্ঘদিন ধরে বিশেষ ভাবে নিয়োজিত রয়েছে সেগুলোর নাম হল, বঙ্গ-সেনা, স্বাধীন-বঙ্গভূমি আন্দোলন, জাগো হিন্দু পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু-ঐক্য ফ্রন্ট, সনাতনী একতা, ইসকন ইত্যাদি।
এদেরই কয়েকটি শাখা, বিভিন্ন ছদ্মনামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বসে তাদের ট্রেনিং এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে যা আমরা বা দেশের সরকার উপেক্ষার চোখে দেখছে। এইসব হিন্দুত্ববাদি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর কাজই হল ভারতবর্ষের অখন্ড হিন্দু রাজ্য গঠনের প্রক্রিয়াকে দ্রুত বাস্তবায়িত করার জন্য বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিলীন করে ভারতের সাথে একাকার করে দেয়া।
ভারত যে তার পরিকল্পিত পথে, অর্থাৎ বাংলাদেশকে হিন্দু রাজ্যের অঙ্গীভূত করার পথে অনেকটা এগিয়ে গেছে, সেকথা আওয়ামীলীগ নামক লেন্দুপ দর্জির দল, ‘বন্ধু ডাকের’ চাদর দিয়ে ঢেকে রাখলেও, দেশপ্রেমিক জনগণের মনে সে আশংকা টগবগ করে ফুটছে।
ভারত বাংলাদেশের চাইতে ২,১১৪% বড় দেশ। সমর শক্তিতে ভারত যেখানে বিশ্বে ৪নং বাংলাদেশ সেখানে ৪৫ নং! তার উপর ভারত বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য তৈরি করেছে বিশেষ প্রশিক্ষিত অনেকগুলো সিভিল জঙ্গী বাহিনী। আর এসএস প্রধান মোহন ভাগবত যিনি মোদি সরকার কর্তৃক জেড প্লাস সিকিউরিটি প্রাপ্ত ভি আই পি, ২০১৫ সালে মুজফফর নগরের এক জনসভায় এ কথা স্বীকার করে বলেছিলেন, আরএসএস এর ‘সঙ্ঘ বাহিনী’ ভারতীয় সেনাবাহিনীর চাইতেও তৎপর বাহিনী। এই অধিক তৎপর বাহিনীর কাজ টা কি আমরা কোনদিন কি ভেবে দেখেছি?
এছাড়াও ‘বঙ্গ-সেনা’ নামে এক বাহিনীর নাম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমরা শুনে আসছি। যা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শেখ মুজিব সাহেবেরই দুই ঘনিষ্ঠ সহচর কালিদাস বৈদ্য ও চিত্ত রঞ্জন সূতার। বঙ্গ-সেনার উদ্দেশ্য ছিল, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, যশোহর, পটুয়াখালী, ফরিদপুর এই ছয়টি জেলাকে নিয়ে হিন্দুদের জন্য ‘স্বাধীন বঙ্গভূমি’ গঠন করা। ইন্দিরা গান্ধীর উত্সাহে গঠিত এই ‘বঙ্গ-সেনা বাহিনী’র তত্পরতা শুরু হলেও বর্তমানে বিজেপির সমর্থন নিয়ে তারা আরও বিস্তৃতি লাভ করেছে! পশ্চিম বঙ্গের এক সাংবাদিক বন্ধু নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানাচ্ছেন যে, বর্তমানে বঙ্গ-সেনার নেতৃত্বে আছেন শিশির সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক পার্থ সামন্ত। শিশির সরকারের বর্তমান ঠিকানা বসিরহাট রোডের সাদপুর হলেও তার আসল বাড়ী খুলনার গল্লামারী এলাকায়। এদের কাজ হল বিএসএফ বাহিনীর হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে টিকটিকি হিসাবে কাজ করা, এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফেনসিডিল ও অন্যান্য মাদক দ্রব্য পৌঁছে দিয়ে বাংলাদেশের যুব শ্রেণীকে ধংস করে ফেলা!
উক্ত সাংবাদিক বন্ধুর ভাষ্য অনুযায়ী ‘বঙ্গ সেনার’ সশস্ত্র অংশটির নাম ‘লিবারেশন টাইগার অফ বাংলাদেশ’ সংক্ষেপে এল টি বি। নামটি শ্রীলঙ্কার এলটিটি বাহিনী কথা মনে করিয়ে দেয়। এরা বিএসএফ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। সুন্দরবন এলাকার গোপন স্থানে এদের ট্রেনিং হয়। এদের নেতার নাম বিশ্বনাথ সাহা। সাংবাদিক বন্ধুর ভাষ্য অনুযায়ী এরা বাংলাদেশের কিছু হিন্দু সংগঠনকেও গোপনে অস্ত্র সাপ্লাই করে নাশকতামূলক কাজে উৎসাহিত করে থাকে। কথা হল আমরা কি এইসব ভয়াবহ পরিস্থিতির আদৌ কোন খোঁজ খবর রাখি?
দেশের মাটিতে যদি মীরজাফর, জগত শেঠ থাকে, এবং দেশের মানুষ যদি দেশ সম্পর্কে অসচেতন হয়, তাহলে সে দেশের স্বাধীনতা হরণ করতে বিপুল সেনাবাহিনী লাগেনা, এ ঘটনা পলাশীর ইতিহাস আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেছে। সেটাই বাংলাদেশের দ্বিতীয়বার অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আজ অস্বীকার করার কোন কারন নেই যে আমরা চারদিক থেকেই হিন্দুত্ববাদী ভারতের চাঁদমারিতে পরিনত হয়েছি। আমাদের সার্বভৌমত্ব লুন্ঠিত হওয়ার পথে। তা দেখেও যারা ভারতের সাথে রক্তের বন্ধন, নাড়ীর টান অনুভব করছে। তাদের মতলবটা আমাদের অনুধাবন করতে হবে। শিবাজী বাঘনখ অস্ত্র চাদরের তলায় লুকিয়ে এনে মোগল সেনাপতি আফজাল খাঁকে হত্যা করেছিল। কিন্তু আজকের শিবাজী বাঘনখ অস্ত্র দেখিয়ে ছুটে আসছে, তারপরও যারা বুক পেতে দিচ্ছে বন্ধু বলে আলিঙ্গন করছে, সেই রকম মূর্খের হাতে দেশ জমা দিয়ে আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে কাটাচ্ছি।
বন্ধুগণ, ভারতের রাষ্ট্র দূত স্পষ্ট ভাষায় জনিয়ে দিয়েছে, ‘যারা আওয়ামীলীগ করে তারাই ভারতের বন্ধু।’ ২০২৪ ভোটে আপনারা দেখেছেন কিছু প্রার্থী প্রকাশ্যে বলেছেন তারা ভারতীয় প্রার্থী, সেতু মন্ত্রী বলেছেন ভোটে ভারত তাদের সাহায্য করেছে! জনগন সেই রকম ভোট প্রত্যাখ্যান করেছে। ১৬ কোটি মুসলমানের দেশ রায় দিয় জানিয়ে দিয়েছে যে তারা ভারতকে শত্রু-জ্ঞানে পরিত্যাগ করে।
২০২৪ সালের সার্কাস ইলেকশন জাতিকে পরিষ্কার ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে যে আওয়ামীলীগ মানেই ভারত, আর ভারত মানেই আওয়ামীলীগ। সুতরাং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অধীনে থাকা মানে ভারতের অধীনে থাকা।
আমরা ধরে নিতে পারি বর্তমান বাংলাদেশ পরিপূর্ণ ভাবে ভারতের অধীনস্থ একটি করদ রাজ্য ।বিনা যুদ্ধে পলাশীর মত ভারতের পায়ে দাসখত লিখেছে। কিছু মীরজাফর জগৎশেঠ গায়ে গতরে বেলুনের মত ফুলে উঠলেও, ১৬ কোটি মানুষের জীবন আজ ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন, তাদের বুকে দমফাটা হাহাকার, হাতে শিকল, পায়ে শিকল, কোমরে দড়ি, গলায় বেড়ী, একেই বলতে হচ্ছে স্বাধীনতা? এর নামই উন্নত স্বাধীন জীবন?
আমরা ভয়াবহ নির্যাতনের মধ্যে আছি, আতঙ্কের শিহরন নিয়ে বেঁচে আছি। এর নাম বাঁচা নয়, বাঁচতে হলে মানুষের সম্মান নিয়ে বাঁচতে হবে, ভয় কে জয়করে বাঁচতে হবে, তার জন্য খোলা আছে একটিই পথ — আধিপত্যবাদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা।
আধিপত্যবাদী শক্তি অত্যন্ত শক্তিশালী ভেবে যারা এখনও ভয়ে বা দ্বিধাদ্বন্দে কাটাচ্ছেন, তারা জেনে রাখুন ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাত কম শক্তিশালী নয়। তাছাড়া একতা মানুষের ঐশী শক্তির স্ফুরণ ঘটায়। আর সেই ঐশী শক্তির কাছে মহা শক্তিধর সামরিক শক্তিও পিছু হঠতে বাধ্য হয়। আফগান-বাহিনী এবং বর্তমান গাজার বীররা তার প্রমান রেখেছে!
শুধু প্রয়োজন, ১৬ কোটি মানুষের ইমান, একতা, সাহস ও দেশপ্রেম। তার সাথে, শত্রু চিহ্নিত করণ, যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণ ও সময় মাফিক প্রস্তুতি গ্রহন। স্মরণ করুন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শক্তি আমেরিকা, ভিয়েতনাম থেকে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে আসার সেই দৃশ্য। জনশক্তির কাছে সমর শক্তি পরাজিত হতে বাধ্য। ভিয়েতনাম, আফগানিস্তান তারই উদাহরণ।
আমেরিকার মত বৃহৎ সমর শক্তির সাথে সেদিনের তুচ্ছ ভিয়েতনামিদের বিজয় এসেছিল কি ভাবে? এসেছিল তাদের অটুট একতা, সুচতুর রণকৌশল, অদম্য সাহস, আর অনন্য দেশপ্রেমের মধ্যদিয়ে! আমেরিকা তার সকল মারণাস্ত্র নিয়ে ২০ বছর ধরে ভিয়েতনামিদের সাথে যুদ্ধ করেও, তাদের মনোবল ভাঙ্গতে পারেনি! ভিয়েতনামিরা নিজেদের অস্ত্রের ঘাটতি, প্রযুক্তির ঘাটতি, নিজস্ব কৌশলে উদ্ভাবন করে পূরণ করে ২০ বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়ে গেছে ।আজও তাদের সাহস ও রণকৌশল বিশ্ববাসীকে চমৎকৃত করে। কয়েকটি সংক্ষিপ্ত উদাহরণ দিয়ে বলা যায় ১) ভিয়েতনামের জঙ্গলময় প্রকৃতিকে তারা অভিনব উপায়ে শত্রুর ফাঁদ হিসাবে ব্যবহার করেছে। জঙ্গলে লুকিয়ে রাখা আমেরিকান বিমান আক্রমণ নস্যাৎ করে দিয়েছে! আমেরিকানরা রাসায়নিক ব্যবহার করে জঙ্গল পাতা শূন্য করে ফেলার পর তারা ২) মাটীর নীচে মাইলের পর মাইল সুড়ঙ্গ কেটে তার ভিতর লুকিয়ে থেকে শত্রু সৈন্যদের ঘায়েল করেছে। ৩) তারা শত্রুসৈন্যের পরিত্যক্ত বা ধ্বংসপ্রাপ্ত অস্ত্র, বোমা, যুদ্ধবিমানের অংশবিশেষ সমূহ নিজস্ব পদ্ধতিতে রূপান্তরিত অস্ত্রে পরিনত করে যুদ্ধ করেছে। যার ফলে তাদের যুদ্ধের ব্যয় আয়ত্তের মধ্য রাখতে পেরেছে। ভিয়েতনাম যুদ্ধে নারী পুরুষ যুবক কিশোর বৃদ্ধ প্রত্যেকেই দেশের সৈনিকে রূপান্তিরত হয়ে যুদ্ধ করেছে।
এই যুদ্ধে আমেরিকার প্রায় ৫৮ হাজার সৈন্য মৃত্যু বরন করে। ৩লক্ষের কাছাকাছি সৈন্য পঙ্গু হয়ে যায়। প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের মত আর্থিক ব্যয় হয়।
আমেরিকানরা ৪০লাখের মত বোমা, নাপামবোমা, রাসায়নিক গ্যাস, ৭০০-৮০০ মত বিমান নিয়ে আক্রমণ করেও ভিয়েতনামের মত একটা হতদরিদ্র দেশের কাছে লজ্জাজনক পরাজয়ের স্মৃতি নিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়!
বন্ধুগণ, জনগনের একতা এবং সাহসের কাছে যে কোন শক্তি পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য! আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আল কোরানের ৯টি জায়গায় একতার জন্য আমাদের তাগিদ দিয়েছেন।
বাতাস ধূলিকণাকে উড়িয়ে নিতে পারে, কিন্তু ধূলিকণা যখন জমাট বেধে পাথরে পরিনত হয়, তখন তাকে উড়িয়ে নেয়া সম্ভব হয়না। আজ ১৬ কোটি বাংলাদেশীর প্রস্তর কঠিন একতা প্রয়োজন। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব আজ সময়ের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ নিশানার মুখোমুখি। আজ চাই স্বাধীনতার লৌহ মানবদের এক কাতারে সামিল হওয়ার বজ্রনির্ঘোষ রণ দামামার উদাত্ত আহ্বান। সামনে সময় খুব কম। অতএব কারো সাহায্যের আশায় দিন গুনে সময় নষ্ট করবেননা।
লেখক: আরিফুল হক, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বহু গ্রন্থের লেখক