বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনআকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে দেশে ফের একতরফা ভাগ-বাটোয়ারার প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন চলছে। এ জন্য রাষ্ট্রের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা নষ্ট হতে যাচ্ছে। তবে দেশের ১৮ কোটি জনগণ এবার আর এ ধরনের কোনো নির্বাচন করতে দিবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচন দেশের মাটিতে হবে না।
তিনি অবিলম্বে ‘একতরফা’ নির্বাচনের সার্কাস বন্ধ এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান। শনিবার (০২ ডিসেম্বর) রাতে এক ভার্চুয়াল সংবাদ বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন রিজভী।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ এখন চরম বিপর্যয়ের মুখে পতিত হয়েছে। বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। সরকারি দলের লোকজন দেশটাকে তাদের লুটপাটের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছে। চরম অর্থনৈতিক মন্দার এমন পরিস্থিতিতে এই পাতানো প্রতিযোগিতাহীন নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে এই সরকারের মন্ত্রীরাও ঘোরতর সন্দিহান। আওয়ামী লীগ সরকারের শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এক সভায় বলেছেন, আমরা বিশাল ষড়যন্ত্রের মধ্যে আছি, আমাদের ৭ তারিখ নির্বাচন, আমরা এখনো জানি না সেটা হবে কি না? একটা অনিশ্চিত অবস্থা।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমস্ত হুঁশিয়ারি ও আহ্বান উপেক্ষা করে পাতানো ডামি নির্বাচনের সার্কাস করছে এই সরকার। তাদের এই নির্বাচনী প্রহসন জেনে গেছে গোটা বিশ্ব। দেশের জনগণের আন্দোলন এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের সঙ্গে প্রকাশ্যে লড়াইয়ে নেমেছে এই সরকার। অচিরেই তাদের ক্ষমতায় থাকার সাধ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে, এই সরকারের পতন ঘটবে।
রিজভী বলেন, বিশেষ বাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে মামলা, হামলা এবং গণগ্রেপ্তার করে বিএনপিসহ ৬০টির বেশি রাজনৈতিক দলকে মাঠ ছাড়া করতে চালানো হচ্ছে অমানুষিক নিপীড়ন। নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করে দণ্ড দিয়ে বিএনপির নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, বিএনপি চাইলেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এই পাতানো-নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- প্রধান প্রতিপক্ষকে মাঠ ছাড়া করা এবং তারা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে তা নিশ্চিত করা। তিনি আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় রোববার সকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া দেশব্যাপী নবম ধাপের রাজপথ-রেলপথ-নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালনের জন্য নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।