বৃটেনে বৈধ কাগজপত্র নেই এমন অভিবাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযানের আগাম ঘোষণা দিয়েছে দেশটির হোম অফিস। আকস্মিক অভিযানের আগাম তথ্য দিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। হোম অফিস জানিয়েছে রুয়ান্ডা নীতি বাস্তবায়নে এবং অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় এই ল্যান্ডমার্ক নীতিটি চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করছে।
২৯ শে এপ্রিল সোমবার থেকে দেশের এ অভিযান শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। আগামী দুই সপ্তাহের ভিতরে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করতে ইমিগ্রেশন সার্ভিস অফিসগুলো রুটিন সভা চালু করেছে। অবৈধ অভিবাসীদের আটক করে দ্রুত কিভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে তার ট্রেনিং কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করেছে হোম অফিস। আটককৃতদের অবিলম্বে ডিটেনশন সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হবে বলে জানা যায়। পরবর্তীতে ডিটেনশন সেন্টার থেকে আসছে গ্রীষ্মে রুয়ান্ডা ফ্লাইটের জন্য অবৈধ অভিবাসীদের প্রস্তুত করতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শরণার্থী কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী এনভার সলোমন বলেছেন , সরকার অতিরিক্ত বাজেট ব্যয়, বিশৃঙ্খলা ও মানবিক দুর্দশা সত্ত্বেও তাদের ‘অমানবিক’ রুয়ান্ডা পরিকল্পনাটি সম্পন্ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা ধারণা করি এটি একটি বিপর্যয়কর সিস্টেমের কারণ হতে পারে। এই বছর রুয়ান্ডায় কয়েক হাজার মানুষকে অপসারণ করা হতে পারে যার ফলে ছোট নৌকা আসা ছাড়াও অন্যভাবে যারা আফগানিস্তান, সুদান ও সিরিয়ার মতো দেশ হতে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছেন তারাও আটক হতে পারেন। যার ফলে আইনের অপব্যবহার ও ঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারেন অনেক অভিবাসী।
যুক্তরাজ্য সরকার একটি সুষ্ঠু, কার্যকর এবং মানবিক আশ্রয় ব্যবস্থা পরিচালনা করার পরিবর্তে নীতিহীন বিষয়ে ঝুঁকে পড়েছে, যা অত্যন্ত অমানবিক।
ইতিপূর্বেও বিভিন্ন সময় বৈধ কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালিয়েছে ব্রিটেনের বর্ডার ফোর্স তবে এর জন্য আগাম কোন বার্তা প্রকাশ করা হয়নি তবে এবার আগাম বার্তা দিয়েই গ্রেপ্তার অভিযানে নামছে হোম অফিস। এমন সংবাদ প্রকাশের পর বৈধ কাগজপত্রবিহীন অভিবাসী অনেকেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে সময় পার করছেন, অনেকেই নিজ বাসস্থান ও কর্মস্থান ত্যাগ করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।
যদিও সোমবার থেকে হোম অফিস সাঁড়াশি অভিযা চালাবে বলে আগাম বার্তা দিয়েছে তবে গত তিন দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে হোম অফিস কয়েকটি অভিযান চালিয়েছে বং বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে।