সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন হচ্ছে বিকল্প থেকে বাছাই করা। সেরা বিকল্প থেকে প্রার্থী বাছাই করে নেয়ার সুযোগ নাগরিকের সামনে থাকতে হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে প্রথম সারিতে রয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এই দুটি দল ছাড়া নির্বাচন হলে তা সেরা বিকল্প থাকে না। বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রেখে যে নির্বাচন সেটি সমঝোতার নির্বাচন। অর্থাৎ, নির্বাচন নির্বাচন খেলা। প্রকৃত অর্থে নির্বাচন নয়। সরকার নিজের মতো নির্বাচন করতে চায়, এই আসন ভাগাভাগি তারই প্রমাণ।
স্থানীয় শাসন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, এর আগে আমরা ২০১৪ সালের নির্বাচন দেখেছিলাম। তখন নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলাম, বিরোধী দলে কারা আসবে সেটাও সরকার নিশ্চিত করতে চায়। এখন দেখা যাচ্ছেÑ কে, কয়টি আসন, কোন আসন, কীভাবে জয়ী হবে এটাও সরকার সিদ্ধান্ত দিয়ে দিচ্ছে।
সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এটা বিরল। কোথাও এমনটা হয় না। আর হয় রাশিয়া ও চীনে। সেখানেও বিরোধী দল কারা হবেন, তা নির্ধারিত হয় সরকারি দল কর্তৃক। এখন আমাদের এখানেও সেই ধারা শুরু হলো। এই ধরনের নির্বাচনের মধ্যদিয়ে যে বিরোধী দল পাওয়া যাবে তার কোনো মূল্য নেই। যে বিরোধী দলকে নির্বাচিত করে আনতে হয়, তার তো কোনো গুরুত্ব নেই। যে রাজনৈতিক দল নিজে নিজে জয়ী হয়ে আসতে পারে না, রাজনৈতিক দল হিসেবে তার যেমন গুরুত্ব নেই; তেমনি এই ধরনের নির্বাচনের মধ্যদিয়ে যে বিরোধী দল পাওয়া যায় তারও কোনো বিশেষ গুরুত্ব নেই। এই ধরনের বিরোধী দলের ভূমিকা কেমন হবে, তার নজির আমরা গত ১৫ বছরে দেখেছি। এই ধরনের বিরোধী দলের কাছ থেকে কিছু প্রত্যাশাও থাকে না। তাই এমন নির্বাচন নিয়েও প্রত্যাশা থাকে না কিছু।