পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান এই প্রশ্ন তুলেন।
তিনি বলেন, আজকে ১৫ বছর পার হয়েছে। এখনো চূড়ান্ত বিচার হয়নি। বিচারকার্য কেন বিলম্বিত হচ্ছে? একটি কথা আছে আমাদের বাংলা ভাষায় যে, বিচারের বানী নিভৃতে কাঁদে।
মঈন খান বলেন, ইংরেজি ভাষায় একটি কথা আছে যে, যদি বিচার বিলম্ব হয় তাহলে সেই বিচারের কোনো মূল্য থাকে না। আমরা শুনেছি যে, সেই বিচার প্রক্রিয়া এখনো ঝুলে আছে। তাহলে যাদেরকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে তারা আজ পর্যন্ত বিনা বিচারে কেন কারাবাস করছে?
আবদুল মইন খান বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক যেন সুশাসনের মাধ্যমে, আইনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পান আমরা সেটাই প্রত্যাশা করি। অপরাধী শাস্তি পাবে সে সম্বন্ধে আমাদের কিছু বলার নাই।
তিনি আরও বলেন, কোনো দোষী ব্যক্তি যদি আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হয়ে যায় সেটা হতেই পারে। কিন্তু একজন নির্দোষ ব্যক্তি যেন কখনো শাস্তি না পায়। আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল বনানী সামরিক কবরাস্থানে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। এ সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহি আকবর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল জয়নাল আবেদীনসহ তৎকালীন বিডিআরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।