বিচারকের বিস্ময়- দুর্নীতি ছাড়া এত্ত সম্পদ অর্জন সম্ভব!

0
98

সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে বিচারকের কঠিন প্রশ্ন। আদালত বিস্ময় প্রকাশ করে জানতে চাইলেন, দুর্নীতি ছাড়া কিভাবে একজন মানুষের পক্ষ্যে বিরাট অংকের অঘোষিত আয় করা সম্ভব। সোমবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক এমন বিস্ময় প্রকাশ করেন। বলেন, এ আয়ের কোনো উৎস নেই। তাহলে দুর্নীতিতে জড়ানো ছাড়া কিভাবে এই আয় সম্ভব হয়েছে! পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) সুপ্রিমো ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে আল আজিজিয়া এবং অ্যাভেনফিল্ড মামলার রেফারেন্স চ্যালেঞ্জের আবেদনের শুনানিতে এমন প্রশ্ন করেন বিচারক। দুই সদস্যের হাইকোর্টের বেঞ্চে আবেদনটি শুনানি করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ফারুক এবং বিচারক মিয়াগুল হাসান আওরঙ্গজেব।

২০১৮ সালে অ্যাভেনফিল্ড রেফারেন্সে সুপ্রিম কোর্টের আলোকে জাতীয় জবাবদিহিতা বিষয়ক ব্যুরোর মামলায় নওয়াজ শরীফকে দেয়া হয় ১০ বছরের জেল। এর সঙ্গে যুক্ত করা হয় আল আজিজিয়া স্টিল মিলসে দুর্নীতি। তাতে ২০১৮ সালে নওয়াজকে সাত বছরের জেল দেয়া হয়। একই সঙ্গে জরিমানা করা হয় ১৫০ কোটি রুপি।

তাকে জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু জেলে অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে তিনি বিশেষ বিবেচনায় বেরিয়ে আসেন। চিকিৎসার জন্য আদালতের অনুমতি নিয়ে লন্ডনে চলে যান। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে না আসায় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দুটি রেফারেন্সেই তাকে পলাতক ঘোষণা করা হয়। প্রায় চার বছর লন্ডনে নির্বাসনে কাটানোর পর গত মাসে তিনি দেশে ফেরেন।

 

পাকিস্তানে অবতরণের পর পরই নওয়াজ শরীফ দুটি রেফারেন্সেই রায়ের বিরুদ্ধে তার আপিল গ্রহণের আবেদন করেন। দাবি করেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশে ছিলেন। সেই আপিলের শুনানিতে সোমবার তিনি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে উপস্থিত হন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার। এদিন হাইকোর্ট এলাকায় নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

শুনানিতে পিএমএলএনের আইনজীবী আমজাদ পারভেজ আদালতকে জানান, নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে যৌথ তদন্ত টিম গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের ২০১৭ সালের ২০শে এপ্রিলের আদেশে এই কমিটি এবং তাদের ম্যান্ডেটের কথা বলা হয়। সুপ্রিম কোর্টের ২০১৭ সালের ওই রায়ের ফলে যৌথ তদন্ত কমিটির তদন্ত শক্তিশালী হয়েছে। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে তখনকার প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে অযোগ্য ঘোষণার পর ওই রেফারেন্স করার নির্দেশনা দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

জবাবে বিচারপতি আওরঙ্গজেব বলেন, রায়ে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল জাতীয় জবাবদিহিতা বিষয়ক ব্যুরো এনএবির চেয়ারম্যানকে। এনএবিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল রায়ের ৬ সপ্তাহের মধ্যে রেফারেন্স জমা দিতে এবং একই সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতকে সিদ্ধান্ত নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। অ্যাভেনফিল্ড রেফারেন্সে নাম আছে নওয়াজ শরীফ ছাড়াও তার মেয়ে ও দলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ, ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) সফদার, হুসেইন নওয়াজ, হাসান নওয়াজের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here