বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘২৮ অক্টোবরের পরে অনেকেই বলেন বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে। আমি বলি কখনোই না, ২৮ তারিখে ব্যর্থ হয়নি। আরও শক্তিশালী হয়েছে বিএনপি।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশকে রাষ্ট্র বলে মনে হয় না। মনে হয় না এ দেশ একটা স্বাধীন রাষ্ট্র। আমাদের মনে হয়, পুরোপুরিভাবে একটি আধিপত্যবাদ সরকার আমাদের ওপর চেপে বসেছে।’
তিনি বলেন, আগামী দিনে সংগ্রাম আরও বেগবান করব। আন্দোলন, আন্দোলন এবং আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে পরাজিত করতে হবে। আরও শক্তিশালীভাবে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যাদেরকে বিশ্বাস করি, যাদের ওপর আস্থা রাখি-গণমাধ্যম। সেই গণমাধ্যমের ওপর প্রথম আঘাত করেছে সরকার। অনেক টেলিভিশন-পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। যারা লিখতে চান, মতপ্রকাশ করতে চান, তাদের জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করেছে সরকার। তাদের তুলে নিয়ে নির্যাতন করেও মারা হয়। এই সরকারের হাত থেকে গণমাধ্যমও রেহাই পায়নি, পায় না। ফ্যাসিবাদ শক্তি যখন আক্রমণ করে, তখন কেউ রেহাই পায় না।
তিনি বলেন, আমাদের ব্যাংকসহ সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচারব্যবস্থা, নির্বাচনিব্যবস্থা সবকিছু তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করাই এখন প্রধান দায়িত্ব উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের একটি জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ়ভাবে গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমেই জনগণের শক্তি দিয়ে এই ভয়াবহ দানবকে পরাজিত করতে হবে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সঞ্চালনায় ইফতারপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন-জামায়াতের ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম। ইফতারে আরও অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আবদুল হাই সিকদার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সরকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জহির উদ্দিন স্বপন, রিয়াজুদ্দিন নসু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খেলাফত মজলিসের আহমেদ আবদুল কাদের প্রমুখ। সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এম এ আজিজ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ইলিয়াস খান, এলাহি নেওয়াজ খান সাজু, মোস্তফা কামাল মজুমদার, ইলিয়াস হোসেন, রফিক মোহাম্মদ, বাছির জামাল, রাশেদুল হক প্রমুখ।