বিএনপিতে চলছে সাজা আতঙ্ক

0
105

গত দুই মাসে প্রায় ৩৫টি মামলায় বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের ৭০০ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা ও ঢাকা মহানগর এলাকায় নাশকতার অভিযোগে গত দুই মাসে প্রায় ৩৫টি মামলায় বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের ৭০০ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগে রায়ের পর্যায়ে রয়েছে প্রায় ৩০টি, চার্জ গঠন শুনানির পর্যায়ে ৫০টির বেশি মামলা।

পুরোনো মামলার রায়ের পাশাপাশি নতুন মামলা দায়ের ও দ্রুতগতিতে মামলার চার্জ গঠন করে বিচার শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। নতুন করে মামলা দায়ের ও পুরোনো মামলায় দ্রুত সাজা আতঙ্কে রয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বলছেন, সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই পুরোনো মামলাগুলো জেগে উঠছে, একইসঙ্গে নতুন করে মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের আটকানোর চেষ্টা চলছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে একবার কারাগারে গেলে আর সহজে জামিন হচ্ছে না তাদের। বিরোধী দলবিহীন একতরফা নির্বাচনের পথ তৈরি করতে সরকার এই কূটকৌশল অবলম্বন করছে বলে মনে করেন তারা।

পুরোনো মামলাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ দেশের বিভিন্ন থানার নাশকতার, গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের সরকারি কাজে বাধাদান, হামলা ও বিস্ফোরকসহ বিভিন্ন আইনে দায়ের হওয়া। চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, যানবাহন ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা ও কর্তব্য কাজে বাধা এবং ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব পুরোনো মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করে চার্জশিট জমা দিচ্ছে পুলিশ। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি মামলায় আদালত চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন। আরও কিছু মামলা চার্জ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পুরান মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। সেটা রাজনৈতিক হোক বা অরাজনৈতিক হোক। এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখানে রাজনৈতিক বিষয়ে বিবেচনা করার কোনও সুযোগ নেই। আদালতের কাছে সব মামলাই সমান প্রাধান্য পায়।’

বিএনপির নেতাকর্মীদের বেশিরভাগ মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগে নেতাকর্মীদের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩ থেকে ৬ মাস পর পর তারিখ পড়তো। এখন সেই একই মামলাগুলোয় ৭ থেকে ১৫ দিন পরপর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তারিখ পড়ছে। অথচ অন্য মামলায় ৩ থেকে ৬ মাস পর পর তারিখ পড়ছে।’ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাদের নেতাকর্মীদের দণ্ডিত করে কারাগারে পাঠাতে এমন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য রেহেনা পারভীন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুরোনো সব মামলাগুলোর দ্রুত রায় দেওয়া হচ্ছে। নতুন মামলায় নেতাকর্মীদের আটক করে জেলে রাখা হচ্ছে। এসব মামলায় যারা জেলে গেছেন, তাদের বেশিরভাগেরই জামিন হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক কোনও মামলায় আটক নেতাকর্মীর জামিন পাওয়ার খবর আমার কাছে নেই।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা ও ঢাকা মহানগর এলাকাধীন থানার নাশকতার অভিযোগে গত ২ মাসে প্রায় ৩৫টি মামলায় বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের ৭০০ জন নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগে রায়ের পর্যায়ে রয়েছে প্রায় ৩০টি, চার্জ গঠন শুনানির পর্যায়ে আছে ৫০টির বেশি মামলা।’

দণ্ডিতদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মো. শাহজাহান ও কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মী রয়েছেন।

চলতি বছরের শুরুতে ২-৩ মাস পর পর একটি করে মামলায় রায় হতে দেখা গেলেও গত আগস্ট মাস থেকে প্রতি মাসে একাধিক মামলা রায় হতে দেখা যায়। নভেম্বর মাস থেকে প্রায় প্রতিদিনই এক বা একাধিক মামলার রায় হচ্ছে। এসব মামলায় দলটির কেন্দ্রীয় থেকে শুরু করে থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা রয়েছেন।

বিএনপির ‘মামলার তথ্য ও সংরক্ষণ শাখা’ থেকে জানা যায়, বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সারা দেশে এক লাখ ৩৮ হাজার ৭১টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৪০ লাখের ওপরে। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীর ৫০ থানায় মামলা আছে ১৭ হাজার ৫৮৩টি। ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের ২৫ জুলাই পর্যন্ত এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আগামী ১২ ডিসেম্বর মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায়ের জন্য দিন ধার্য আছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঢাকার জজ কোর্টে আরও অর্ধশতাধিক নাশকতার মামলার রায় হতে পারে। আর তাতে দণ্ডিত হতে পারেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ হাজারও নেতাকর্মী—এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন নেতাকর্মীসহ মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীরা।

নেতাকর্মীদের উল্লেখযোগ্য সাজা

চলতি বছর ১০ জানুয়ারি নাশকতার অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলায় ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালত বিএনপির ১০ কর্মীর ৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

৮ মার্চ: ৯ বছর আগের নাশকতার মামলায় বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর মোল্লাসহ চার জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ডের রায় দেন ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক।

৩ এপ্রিল: ৯ বছর আগে রাজধানীর মুগদা থানায় দায়ের হওয়া নাশকতার মামলায় বিএনপির সাত কর্মীর দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন।

১৯ জুন: ১০ বছর আগে সবুজবাগে ককটেল বিস্ফোরণসহ নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর হামিদুর রহমানসহ সাত জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

৭ আগস্ট: ২০১৩ সালে কোতোয়ালি থানা এলাকায় গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ ২১ জনকে কারাদণ্ড দেন ঢাকার সিএমএম আদালত।

১৭ আগস্ট: সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার সিএমএম আদালত।

১৮ আগস্ট: রমনা থানার একটি মামলায় আবুল কালাম আজাদ নামে বিএনপির এক কর্মীকে সাজা দিয়েছেন আদালত।

৯ অক্টোবর: রাজধানীর ভাটারা থানার নাশকতার একটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মো. শাহজাহান ও কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আহসান হাবিব লিংকনসহ ১৫ জনকে চার বছর করে কারাদণ্ডের রায় দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম।

২৩ অক্টোবর: রাজধানীর বংশাল থানার নাশকতার অভিযোগের একটি মামলায় মোহন মোল্লা নামে এক আসামির তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক।

৩০ অক্টোবর: রাজধানীর কলাবাগান ও বাড্ডা থানার নাশকতার পৃথক দুই মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী রবিউল আলম ওরফে রবি ও বাড্ডা থানা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর মোল্লাসহ ২১ জনকে দণ্ডিত করেন আদালত। এরমধ্যে রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকায় ১০ বছর আগের নাশকতার একটি মামলায় রবিউল আলম ওরফে রবিসহ ১০ জনের আড়াই বছর করে কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম।

একই দিনে বাড্ডা থানার নাশকতার অপর মামলায় বাড্ডা থানা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর মোল্লাসহ ১১ জনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন।

৭ নভেম্বর: রাজধানীর বংশাল থানার নাশকতার অভিযোগের একটি মামলায় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক আলী সরকার, তার ভাই ইয়াকুব সরকারসহ দলের ৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম।

৮ নভেম্বর: রাজধানী মিরপুর থানায় দায়ের করা নাশকতার পৃথক তিন মামলায় বিএনপির ২২ নেতাকর্মীকে তিন বছর করে কারাদণ্ডে রায় দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।

১২ নভেম্বর: দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার একটি নাশকতার মামলায় বিএনপির আট নেতাকর্মীর সাড়ে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাসফিকুল ইসলাম।

১৪ নভেম্বর: ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানীর বনানীতে ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল আলিম নকিসহ পলাতক ১০ বিএনপি নেতাকর্মীর প্রত্যেককে ২ বছর ৭ মাস করে কারাদণ্ড দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী।

১৫ নভেম্বর: নাশকতার পৃথক দুই মামলায় বিএনপির ৩৬ নেতাকর্মীর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাসফিকুল ইসলাম।

একই দিন ২০১৩ সালে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা নাশকতার এক মামলায় বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম।

১৬ নভেম্বর: রাজধানীর ভাসানটেক থানার একটি নাশকতার মামলায় বিএনপির তিন নেতাকর্মীকে দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিব।

একই দিন রাজধানীর শ্যামপুরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল্লাহ।

২০ নভেম্বর: ৫টি নাশকতার মামলায় বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ ১৩৬ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

২২ নভেম্বর: রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার একটি নাশকতার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য এসএম জাহাঙ্গীরসহ ১১ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন ঢাকার ১০ নম্বর মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রহমান সিদ্দিকী।

২৩ নভেম্বর: পৃথক ৪ নাশকতার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর ও যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ বিএনপি ১৯৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন ঢাকার সিএমএম আদালত। রায়ে ২০১৩ সালের নাশকতার একটি মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদল সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীরসহ বিএনপির ৭৫ জন নেতাকর্মীর প্রত্যেককে ২ বছর ৬ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুল হক।

২০১৫ সালের রাজধানীর কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের আরেক মামলায় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ ১২ জনকে কারাদণ্ড দেন ঢাকার সিএমএম আদালত।

২৭ নভেম্বর: পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করার অভিযোগে রাজধানীর উত্তরখান এলাকায় ২০১৮ সালে দায়ের করা মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৬ নেতাকর্মীকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

২৮ নভেম্বর: রাজধানীর পৃথক থানায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক আলী সরকারসহ ৫৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

পুলিশের করা মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালসহ বিএনপি ও জামায়াতের ২২ নেতাকর্মীকে পৃথক দুটি ধারায় দুই বছর তিন মাস করে কারাদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাস কারাভোগের আদেশ দেওয়া হয়েছে। ২৯ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল্লাহ এই রায় ঘোষণা করেন।

৩০ নভেম্বর: ২০১৩ সালে রাজধানীর সবুজবাগ থানার দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনসহ ১৩ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। পাশাপাশি প্রত্যেকের দুই হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here