পার্বত্য জেলা বান্দরবানের দুর্গম এলাকা থানচি, রুমা ও আলী কদম থানায় সন্ত্রাসী হামলা এবং ব্যাংক লুটের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবি পার্টি। দলটির নেতারা এই ঘটনায় জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। শুক্রবার বিকাল ৫টায় রাজধানীর বিজয়নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্ত্বরে আয়োজিত গণ-ইফতারে সভাপতিত্ব করেন দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। মহানগর উত্তরের আলতাফ হোসেইনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন, ন্যাপ এর মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল হালিম নান্নু প্রমূখ।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন; পার্বত্য অঞ্চলে কুকি চিন তথা কেএনএফের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা দিনে দুপুরে ব্যাংকের টাকা লুট, থানা আক্রমণসহ যে ভয়ানক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তার নিন্দা জানানোর কোন ভাষা আমাদের জানা নেই। গত মঙ্গলবার রাতে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকেও তারা অপহরণ করেছিল। পুলিশ ও আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা দিতে তো পারেই নি বরং নিজেদের ১৪টি অস্ত্র ও ৪১৫টি গুলি তারা সন্ত্রাসীদের হাতে সমর্পণ করেছে। অথচ এই পুলিশ ও আনসার বাহিনী বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করতে খুব সিদ্ধহস্ত! তিনি জনগণের নিরাপত্তা বিধানে সরকারের ব্যর্থতার কঠোর সমলোচনা করে বলেন, এই সশস্ত্র হামলার সম্পূর্ণ দায় সরকারের। কারণ তারা আগে বলেছিল পাহাড়ের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে এবং কুকি চিনের সাথে তাদের একটা সমঝোতা আলোচনা চলছে। তিনি আরও বলেন, থানচি, রুমা ও আলী কদমে যা ঘটেছে এতে পরিষ্কার জনগণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আজ সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। সরকার তার দলীয় নেতা-কর্মী ও ক্যাডারদের নিরাপত্তায় যত তৎপর জনগণের বিষয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নাই।