আল-জাজিরার প্রতিবেদন:
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনটি শেখ হাসিনার অবৈধ শাসনকে শক্তিযোগাতে একটি ভুয়া, নকল, লজ্জাজনক পরিকল্পনা -হিসেবে উল্লেখ করেছেন নির্বাসিত বিরোধীদলীয় নেতা জনাব তারেক রহমান।
বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে ৪ জানুয়ারী তারেক রহমানের বক্তব্য উদ্ধৃত করে সংবাদটি প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা।
তার দল বাংলাদশে জাতীয়তাবাদি পার্টি (বিএনপি) কয়েক মাস ধরে সারা দেশে বিভিন্ন সমাবেশ করার মধ্যদিয়ে জনসম্পৃক্ত গণ আন্দোলন গড়ে তুলে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে আসছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, তারেক রহমান বর্তা সংস্থা এএফপি সাথে এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন,
এটা সংঙ্গত না এমন এটা নির্বাচনে তার পার্টি অংশ নিবে যার ফলাফল আগেই নির্ধারিত হয়ে আছে। বাংলাদেশ আরও একটি লজ্জাজনক নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে বলে তিনি বার্তা সংস্থাকে ই-মেইলের মাধমে দেয়া প্রশ্নের উত্তরে লন্ডন থেকে জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনার অধীনে একটি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা মানে, বাংলাদেশের জনগনের আকাঙ্খার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করা। এটা করা মানে, তাদের অবদান ও ত্যাগকে অসম্মান করা, যারা- গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, রক্ত দিয়েছেন এবং তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন- বলেন জনাব তারেক রহমান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রচন্ড প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে বিএনপিসহ আরও যেসব দল নির্বাচন বর্জন করেছেন তাদের উপর।
বিরোধী দলের আন্দোলন রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে না পেরে আওয়ামী লীগ ডামি অপজিশন ও ক্যান্ডিডেট তৈরি করে নির্বাচনকে জায়েজ করার চেষ্টা করছে। যেখানে সব ফলাফল আগেই নির্ধারিত সেখানেও একটা ফাঁপা প্রতিযোগিতা দেখাতে দলটি এমন কু-কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যে সব নাগরিক ভোট দিতে যাবেন না, ভোট বর্জন করছেন তাদের সরকারী সুবিধা দেয়ার জন্য যেসব কার্ড দেয়া হয়েছে তাও কেড়ে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
বিএনপির ২৫ হাজারের বেশি নেতা কর্মিকে জেলে নেয়া হয়েছে, যদিও সরকার বলছে ১১ হাজার। অনেকে অন্যায় ভাবে সাজা পেয়ে যাচ্ছেন। অসংখ্যা নেতা পালিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। বিভিন্ন মামলায় দলের নেতাদের জব্ধ করার কৌশল নিয়ে আওয়ামী লীগ আইনের শাসনের অপব্যবহার করছেন। তার নিজের মামলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে
তিনি বলেন,
আমি খুব ন্যাক্কার জনক ও নোংড়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তারপরেও গত ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলোর একটিতেও তারা সত্যিকারের, বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ হাজির করতে পারে নাই।
অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা আগত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত মন্তব্য করছেন। এর আগের দুটি বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা টিকি রেখে এখন আরও একটি পাতানো নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। সারা বিশ্বের নজর এখন এই নির্বাচনের দিকে।