রোববার নির্বাচনে টানা চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু দেশে কী গণতন্ত্র থাকবে- সেটাই বড় প্রশ্ন।
প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে চূর্ণবিচূর্ণ করা হয়েছে। তাদের গতিশীল হওয়ার সক্ষমতা নেই বললেই চলে। এই দলটির যেসব নেতা জেলের বাইরে আছেন তারা আদালতে অফুরন্ত হাজিরায় জর্জরিত অথবা যারা পালিয়ে আছেন তাদের পিছু নিয়েছে পুলিশ। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ একপক্ষীয় প্রতিযোগিতার পথ পরিষ্কার করেছে। যেখানে দলটি নির্বাচনে নিজেদেরই ডামি প্রার্থী দেয়ার আহ্বান জানায়, যাতে মনে হয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জবিহীন হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি, যাতে নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য একটি নির্দলীয় প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায়, নির্বাচন তদারকির জন্য। কিন্তু তাদের সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন শেখ হাসিনা। ফলে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে।
এমনকি বাংলাদেশ যখন দৃশ্যত সমৃদ্ধির পথ খুঁজে পেয়েছে, অভ্যুত্থান ও হত্যকাণ্ডের একটি যুগ অতিক্রম করেছে, তখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন এই নির্বাচন এটাই দেখিয়ে দেয় যে- ১৭ কোটি মানুষের এই দেশটি কয়েক দশক ধরে প্রধান দুটি দলের মধ্যে পুরনো বিবাদের মধ্যে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
সহিংসতার আশঙ্কা বাতাসে ভাসছে। বিরোধীরা ভোটের বিরোধিতা করছে।