বরিশালে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ

0
92

বরিশালে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারীর মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, চারজনকে কুপিয়ে জখম করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম অনিসারীরা। তাছাড়া জাহিদ ফারুক শামীমের ইমাম নামের এক অনুসারীকে কুপিয়ে জখম করে সাদিক আবদুল্লাহর লোকজন।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১০টার দিকে বরিশাল নগরীর পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশপুর এলাকার ৩ নম্বর গলিতে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তা ছাড়া ঘটনার পর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল সদর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর কর্মী কবির ফকিরের তিন ছেলে রাব্বি ফকির (৩০), আমিন ফকির (২৩), আসিফ ফকির (১৮) এবং তাদের স্বজন আব্দুল হালিম খলিফা। এ ছাড়া অপরপক্ষের ইমাম।

তথ্য নিশ্চিত করে বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, সদর আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহিদ ফারুক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর লোকেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছে। এ ছাড়া একজনের মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ওসি বলেন, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিপুলসংখক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে ঘটনার সূত্রপাত কী নিয়ে সে বিষয়ে এখনো কিছু নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছে, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহর লোক। কাউন্সিলর রনির লোক হিসেবে পরিচিত মোস্তফার সঙ্গে প্রতিপক্ষ সালেক ও সজীবের বিরোধ। সালেক আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারী এবং সিটি নির্বাচনে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী।

সোমবার রাতে মোস্তফা ও সালেক অনুসারীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও জুয়ার ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এ সময় সালেক ও সজীবের নেতৃত্বে মোস্তফার লোকেদেন কুপিয়ে জখম ও আল আমিনের মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেয়। পরে সালেকের অনুসারী ইমমাকে কুপিয়ে জখম করে মোস্তফার লোকজন।

কাউনিয়া থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে মামলা বা লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here