ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার কারণে ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এর মানে হলো ৬৪ দিনের এই যুদ্ধে ২৩ লাখ মানুষের গাজায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি ঘরছাড়া হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে মিসর বলেছে, বাস্তুচ্যুত এসব ফিলিস্তিনি গাজা ছেড়ে মিসরের সিনাই উপত্যকায় আসলে মিসর ও ইসরায়েলের সম্পর্কে চিড় ধরবে।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের চার জন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে নিউজ ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওস।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর থেকে গাজার মোট জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ প্রায় ২০ লাখ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ দিনই হামাসের হামলার জবাবে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
অ্যাক্সিওসের খবরে বরা হয়েছে, চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে হামলা শুরু করেছে। এই হামলা শুরুর পর থেকে অনেক ফিলিস্তিনি মিসরের সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, মিসরের উদ্বেগ হলো ইসরায়েল এসব ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে মিসরের দিকে ঠেলে দেবে। এমনকি যুদ্ধ শেষ হলে তাদের আর সেখানে ফিরতে দেবে না বলেও মনে করছে কায়রো।
তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে ও প্রকাশ্যে এই ধরনের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছেন। তারা মিসরকে আশ্বাস্ত করেছেন, যেসব আহত ফিলিস্তিনি চিকিৎসার জন্য গাজা থেকে মিসরে গেছেন তাদের আবার গাজায় ফিরতে দেওয়া হবে।
১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপন করে মিসর। মিসরের পর জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে।