ফখরুল-খসরুর রিমান্ড নাকচ জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

0
119

বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই আদেশ দেন।

আসামিদের পক্ষে প্রথম শুনানি করেন বিএনপি আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান। তিনি আদালতে বলেন, তিনি মির্জা ফখরুল যদি কম্প্রোমাইজ করতেন তাহলে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আদালতে তাকে আসতে হতো না। তিনি রিকশাওয়ালা, দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের লড়াই করছেন। সরকারের এক মন্ত্রী বলেছেন, তারা যদি নির্বাচনে যেতেন তাহলে এক রাতে সবাই ছাড়া পেতেন। আইন আজ কোথায় গেছে। তারা রাজি নয় বলেই এই রিমান্ডে নেয়া। তারা রাজনৈতিক মিথ্যা মামলার আসামি। তারা রাজবন্দি।

এ আইনজীবী বলেন, মহাসমাবেশের দিন জনগণ তাদের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য স্লোগান দিয়েছে। এটা কি তাদের অপরাধ। পুলিশ যে কারণে রিমান্ড চেয়েছেন তা রিমান্ড পাওয়ার যোগ্য নয়। এই রিমান্ড বাতিল করে তাদের জামিন দেন। এরপর বিএনপি পক্ষের আইনজীবী মহসিন মিয়া শুনানিতে বলেন, আসামিরা অসুস্থ। এখন কেন তাদের রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। এটা মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মুক্তিযোদ্ধা। এ মামলায় অসুস্থ ও মুক্তিযোদ্ধা বিবেচনায় তাদের জামিন দেন।

 

শুনানি শেষে আদালত মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর রিমান্ড ও জামিনের আবেদন উভয় নামঞ্জুর করেন। তবে আসামিদের জেলগেটে ২ দিনের পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। এর আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরুকে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে এজলাসে তোলা হয়। এ সময় মির্জা ফখরুল হাতে লাঠি ভর দিয়ে এজলাসে আসেন। শুনানির সময় মির্জা ফখরুলের মেয়ে এজলাসে তার বাবার পাশে বেঞ্চে বসে ছিলেন। দুপুর ১টা ১০ মিনিটে মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুকে তাদের ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।

রিমান্ড শুনানিতে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এজাহারনামীয় ও তাদের সহযোগী আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বেআইনি জনতাবদ্ধে দাঙ্গা- হাঙ্গামা করতে বাঁশের লাঠি নিয়ে সজ্জিত হয়ে পুলিশকে আক্রমণ, বলপ্রয়োগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গুরুতর জখম করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ ব্যক্তি ও সম্পত্তির ক্ষতি করেন। উল্লিখিত আসামিরা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। তারা ঘটনার দিন নাশকতা ও অরাজক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রকাশ্যে বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এজাহারনামীয় ও পলাতক আসামিরা পল্টন মডেল থানার সামনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে পুলিশ সদস্যদের গুরুতর আহত করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এই দুই আসামি মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার দেখানোপূর্বক রহস্য উদ্‌ঘাটন, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার, ককটেল নিক্ষেপকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে জিজ্ঞাসাবাদ এবং অভিযান পরিচালনার জন্য ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

গত ১৪ই ডিসেম্বর পল্টন থানার মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ১০ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে পল্টন থানার পুলিশ। পুলিশের আবেদনে বলা হয়েছে, এজাহারনামীয় ও তাদের সহযোগী আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বেআইনি জনতাবদ্ধে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করতে বাঁশের লাঠি নিয়ে সজ্জিত হয়ে পুলিশকে আক্রমণ, বলপ্রয়োগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গুরুতর জখম করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ ব্যক্তি ও সম্পত্তির ক্ষতি করেন। উল্লিখিত আসামিরা বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা। তারা ঘটনার দিন নাশকতা ও অরাজক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রকাশ্যে বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এজাহারনামীয় ও পলাতক আসামিরা পল্টন মডেল থানার সামনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে পুলিশ সদস্যদের গুরুতর আহত করেন।

এতে আরও বলা হয়েছে, এ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে উল্লিখিত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোপূর্বক রহস্য উদ্‌ঘাটন, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার, ককটেল নিক্ষেপকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে জিজ্ঞাসাবাদ এবং অভিযান পরিচালনার জন্য ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here