বান্দরবানের পাহাড় নিয়ে সরকার আবার কোনো অশান্ত খেলায় মেতেছে কিনা, আবার নতুন নাটক করছে কিনা এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সরকার একসময় জুজুর ভয় দেখানোর জন্য দেশে আইএস নাটক করেছিল। দেশ চালায় সরকার, রাষ্ট্রীয় সমস্ত ক্ষমতা তাদের হাতে। আর কুকি চিনকে বিএনপি দূরবীন না মাইক্রোস্কোপ দিয়ে আবিষ্কার করল! আজকে সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরায় সদ্য কারামুক্ত বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামালের বাসায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মঈন খান জামালের পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে কুশল বিনিময় করে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
‘বিএনপি গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্থ করছে’ আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আব্দুল মঈন খান বলেন, সরকারের আছে আওয়ামী লীগ, তাহলে বিএনপি কিভাবে গনতন্ত্রকে বাধা দেয়, সেটা কিভাবে সম্ভব! এর জবাব আওয়ামী লীগ ভালো দিতে পারবে। বাংলাদেশে আজকে গনতন্ত্র নেই, ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করে গনতন্ত্র হরণ করেছে এটা শুধু বিএনপিসহ ৬৩টি সমমনা রাজনৈতিক দলের কথা নয়, আমেরিকা ইউরোপীয়ন ইউনিয়নসহ গনতন্ত্র বিশ্বও একই কথা বলছে।
তিনি বলেন, আমরা রাজপথে আছি, একদফার আন্দোলন শেষ পর্যায়ে রয়েছি। বাংলাদেশে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে এটাই আমাদের দাবি। আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী। মানুষের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার ও গনতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে না দেয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
বিএনপির এই অন্যতম শীর্ষ নেতা বলেন, ২০১৪ সালে বিনা ভোটের নির্বাচন, ২০১৮ সালে দিনে ভোট রাতে করে ২৯৪ আসন দখল করে নেয় এবং ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন চলমান আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে মানুষ নীরবে ভোট বর্জন করেছে। কারণ এই নির্বাচনের তাদের ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না, স্বাধীনভাবে জনপ্রতিনিধি বাছাই করার সুযোগ ছিল না।
মঈন খান বলেন, আজকে বাংলাদেশ কেন গনতন্ত্র নেই। গনতন্ত্র না থাকলে তো মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলন মিথ্যা হয়ে যাবে। আজকে মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন তারা যদি প্রশ্ন করেন, গণতন্ত্র কোথায় তাদেরকে আমরা কী জবাব দেবো। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে শক্তি বলে দাবি করে আজকে সেই সরকার কী জবাব দেবে? আজকে আমরা কোন দেশে বাস করছি। দুই দিন পরে ঈদ। এক মাসের সংযম ও ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে ঈদ উদযাপন করা হয়। আজকে আমরা কী উদযাপন করছি, কোন পরিস্থিতিতে আমরা বসবাস করছি।
কারামুক্ত বিএনপি ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের রাতে বাসা থেকে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থানা ও কারাগারে আমাকে মানসিকভাবে টর্চার করা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের সেলে মধ্যে আটকে রাখা হতো, বাইরে বের হতে দেয়া হয়নি। ২৯ ডিসেম্বর জামিন পেলেও জেলগেট থেকে আবারো ২০২৩ সালের জুলাইয়ের পুরনো মামলায় গেফতার দেখানো হয়। এখনো বাসার সামনে পুলিশ টহল অব্যাহত রয়েছে।